দেশে চলমান মাদক বিরোধী অভিযান ইতোমধ্যেই নানান প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। অভিযান শুরু হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই নিহতের সংখ্যা একশ’ ছাড়িয়ে গেছে। তারপরেও সরকার যে মাদক নির্মূল অভিযানে কঠোর অবস্থানে আছে তা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে ফুটে উঠেছে।
মাদক বিরোধী অভিযানের সাফল্য কামনা করে তিনি বলেছেন, যাকে তিনি ধরেন তাকে ছাড়েন না। বোঝা যাচ্ছে, যেহেতু নির্বাচন বছরে সরকার চাইবে না পরাজয় বলে কিছু থাকুক তাদের খাতায়, তাই চেষ্টা করছে এই অভিযান যেন সফল হয়।
সরকারের মাদকবিরোধী অভিযানের পক্ষে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে দেশের একটি বড় অংশ। এরা নিজেরা হয়তো মাদক কারবারের সাথে যুক্ত নয়। আবার কেউ কেউ হয়তো আপনজন কিংবা সমাজের একটি অংশের মাদকাসক্তিতে শঙ্কিত। নাগরিকদের এই অংশ আশা করে বসে আছে হয়তো এবার সমাজ থেকে মাদক আসক্তি নির্মূল হবে না হয় আধমরা অবস্থায় এসে পৌঁছাবে। এরা মনে করে জঙ্গি অভিযান সফল হয়েছে এবং আরও একটি সাফল্য বর্তমান সরকার নিজের নামে লিখে নিতে যাচ্ছে।
কিন্তু কথা হলো দেশের সবাই কি একইভাবে দেখছে মাদক বিরোধী অভিযান? এর উত্তরে বলতে হবে, না। তাহলে দেশের মানুষের অন্য অংশ কোন দিকে? মনে হচ্ছে তারা বরাবরের মত ‘এবারও’, ‘এবং’, ‘কিন্তু’ বা ‘তবে’র মধ্যে ভাগ হয়ে বসে আছে। যদিও দেশের অভ্যন্তরে এবং প্রবাসী জনগোষ্ঠীর একটি অংশ মাদক বিরোধী অভিযানের নামে মানুষ হত্যার বিরুদ্ধে যথেষ্ট শক্ত অবস্থানে রয়েছে তবুও সন্দেহবাতিক এই গোষ্ঠী কোন পক্ষেই যেতে চাইছে না।
মাদকবিরোধী চলমান অভিযানকে যারা সমর্থন দিচ্ছেন না তাদের বিশেষ উদ্বেগের কারণ হলো মাদক নির্মূল অভিযানে যারা প্রাণ দিচ্ছে তারা একেবারে মাঠ পর্যায়ের সদস্য। বড় বড় ভয়াবহ জঙ্গি অভিযান যেমন সরাসরি জনগণকে দেখানো হয়েছিল, মাদক অভিযানে যে কথিত বন্ধুক যুদ্ধ হয় সেটা অপেক্ষাকৃত ছোট ও দুর্বল একটি দল বা ব্যক্তির সাথে হওয়া স্বত্বেও জনগণকে তা দেখানো হচ্ছে না। রাষ্ট্রীয় প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত বাহিনী অপেক্ষাকৃত দুর্বল ব্যক্তির সাথে বন্ধুক যুদ্ধে কামিয়াবি হবে সেটাই স্বাভাবিক। তাই তারা প্রশ্ন রাখছেন, মাদক বিরোধী অভিযান দেশের মানুষ কেন সরাসরি দেখতে পাচ্ছে না?
অনেকের প্রশ্ন, সব অভিযানই রাতের বেলায় হচ্ছে কেন। এ সমস্ত কারণে দেশের বৃহৎ একটি অংশ চলমান অভিযানকে সন্দেহের চোখে দেখছে। সকলে মোটামুটি স্বীকার করেই নিয়েছে যে এই বন্দুক যুদ্ধ হলো মনগড়া।
যেকোন মাদক দ্রব্য ভোক্তা বা গ্রাহকের হাতে পৌঁছাবার আগে যে সমস্ত স্তর পার হয়ে আসে সেগুলো ঠেকাতে সরকার অনেকাংশে ব্যর্থ হয়েছে বলে অনেকেই মনে করেন। যেমন আন্তর্জাতিক চোরাকারবারি ও মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে বাংলাদেশী এজেন্টদের নেটওয়ার্ক সন্ধান করে তা দেশের মানুষকে জানানো কিংবা অবহিত করা হয়নি। তাছাড়া মাদক আমদানি কিংবা চোরাপথে আসা রোধ করাও সম্ভব হয়নি। সে ব্যর্থতা সীমান্ত রক্ষী বাহিনী এবং শুল্ক বিভাগের হাতে ছিল। তাদের কাউকে এই ব্যর্থতার অভিযোগে চাকরীচ্যুত করা হয়েছে কিনা কিংবা জবাবদিহিতার আওতায় আনা হয়েছে কিনা তাও দেশের জনসাধারণ জানে না। এরপর সরকারী দল ও প্রশাসনের কেউ মাদক ব্যবসায়ীদের পাশে আছে কিনা তা নিয়েও বড় রকমের খোঁজ খবর হয়েছে বলে বিশ্বাস করেন না অনেকেই।
সবচেয়ে বড় অভিযোগ দেশের অভ্যন্তরে ‘মাদক গডফাদার’ বলে বিবেচিত কোন ব্যক্তি এই অভিযানে ধরা পড়ছে না। কাজেই শুরুটা যেখান থেকে হবার কথা ছিল সেখানে থেকে না হয় ঠিক মাদক সেবনকারী বা ভোক্তাদের এক স্তর উপড়ের স্তর অর্থাৎ মাঠ পর্যায়ের খুচরো ব্যবসায়ী বা ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে। জরুরী স্তরগুলো বাদ দিয়েই যদি শুরু করতে হবে তাহলে একদম নিচের স্তরে গিয়ে অর্থাৎ যারা মাদক সেবন করে তাদেরকে কেন ধরা হল না। এমনটি হলে না হয় বলা যেত অভিযান শুরু হয়েছে মাথা থেকে কিংবা লেজ অংশ থেকে।
একথা সকলেই জানে যে, স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ছাত্রছাত্রী হতে শুরু করে ভবঘুরে বখাটেদের একটি বড় অংশ এই মাদক সেবক বা মাদকাসক্ত। এমনকি অভিজাত পরিবারেরে অন্দর মহলেও মাদকের ছড়াছড়ি। সাপ্লাই থাকা স্বত্বেও ডিমান্ড কমানো গেলে বিনা হত্যায় সমস্যার অনেকাংশ সমাধান করা যেত। তাই কথা হচ্ছে অভিযান কোথা থেকে শুরু করলে ভালো হতো আপাতঃদৃষ্টিতে এই মানদণ্ডে সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করারও যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
সকলের মুখে মুখে যে কথাটি বারবার উচ্চারিত হচ্ছে তা হলো বিনা বিচারে তথাকথিত বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যা প্রসঙ্গ। এ যাবত ফিলিপাইনে বিশ হাজারেরও বেশি লোককে মাদকবিরোধী অভিযানে হত্যা করা হয়েছে বলে খবর বেড়িয়েছে।
থাইল্যান্ড সরকারও তিন থেকে চার হাজার লোককে হত্যা করেছিল বলে জানা যায়। ২০০৬ থেকে এখন পর্যন্ত মেক্সিকোতে এক লাখের উপর হতাহত হয়েছে। এছাড়াও আমেরিকা, ল্যাটিন আমেরিকা, আফ্রিকা, পশ্চিমা দেশ সমূহে বিভিন্ন সময় চলছে মাদক বা ড্রাগ বিরোধী অভিযান এবং স্বভাবতই সে সমস্ত দেশেও চলছে মৃত্যুর হোলী। বাংলাদেশে মাদক বিরোধী অভিযান কোথায় গিয়ে শেষ হয় কে জানে।
আপাতঃদৃষ্টিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মাদকবিরোধী অভিযানের লক্ষ্য হলো মাদক মুক্ত সমাজ গড়ার চেষ্টা। কোথাও সাময়িক সাফল্য কোথাও অপেক্ষাকৃত মধ্যম সাফল্য লক্ষ্য করা গেলেও বাংলাদেশের অবস্থান জানতে হয়তো কিছুটা দেরি করতে হবে। এর অর্থ এই নয় যে পৃথিবীর নানান দেশের মাদক বিরোধী যুদ্ধ বা অভিযানের মৃত্যুর সংখ্যার দিকে তাকিয়ে আমাদের সন্তুষ্টির কোন কারণ আছে। মানবতা বিরোধী কোন সাফল্য যেন আমাদের অনুসরণ করতে না হয় সে কথাই বলছেন যারা তথাকথিত বন্দুক যুদ্ধ সমর্থন করেন না।
অতীতের গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেল, কিংবা আফগানি আফিম থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক হিরোইন সম্রাটেরা সব সময় নতুন নতুন বাজার অনুসন্ধান করে চলছে। যেকোনো বিরোধিতায় এরাও যুদ্ধে সামিল হতে প্রস্তুত। সহজেই হারার পাত্র নয় ড্রাগস ডিলাররা। কাজেই বাংলাদেশেও মাদক বিরোধী অভিযানকে কেন্দ্র করে জন্ম হবে নতুন নতুন মাত্রা, ভিন্ন সব খবর, সিনেমা বানানোর মত কাহিনী। যা অতীতে অনেক দেশেই হয়েছে। তাই সরকার সতর্ক না হলে ফেঁসে যেতে পারে ড্রাগ ডিলার্সদের জালে। নির্বাচন বছর তাই থাকবে অতিরিক্ত বিরোধিতা। আশা করি সরকারও সেগুলো ভাল করে অনুধাবন করে।
যারা মাদক ব্যবসায়ের সাথে জড়িত তাদের মার্কেটিং রিসার্চ যথেষ্ট তথ্য নির্ভর হয়। ওরা সম্ভাব্য বাজার খুঁজতে গিয়ে দেখে কোন সমাজে নৈতিকতার অবক্ষয় হচ্ছে। কোন দেশের প্রশাসন সহজে বিকিয়ে যায়। কোন সরকারের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব রয়েছে। কোন কোন দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংগঠনগুলো দুর্বল। কোথায় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে জনপ্রতিনিধির তুলনায় ব্যবসায়ী (মুনাফা ভোগী) দল ভারি করে বসে আছে।
উপরোল্লেখিত দুর্বলতার খানিকটা লক্ষ্য করতে পারলেই মাদক ব্যবসায়ীরা নতুন সম্ভাব্য তালিকায় সেই দেশটির নাম অন্তর্ভুক্ত করে নেয় বলে ধারণা করা হয়। এরপর স্থানীয় প্রভাবশালী গডফাদার বা গডমাদারকে হাত করে শুরু হয় রমরমা ব্যবসা। যদিও মাদক ব্যবসায়ে উচ্চ মাপের ঝুঁকি থাকে তারপরও অধিক মুনাফার সুযোগ থাকে বলে এ ব্যবসা সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন করা দুরূহ কাজ। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে চলমান মাদক অভিযান প্রশ্নবিদ্ধ না হয়ে কতটুকু সফল হয় সেটাও দেখবার বিষয়।
মনে রাখতে হবে বাংলাদেশে বিভিন্ন মাদক আসক্তিতে যারা জড়িত যেমন ইয়াবা, ফেন্সিডেল, হিরোইন, গাঁজা, নেশার ইনজেকশন, মদ জাতীয় পানীয় ইত্যাদিতে যারা আসক্ত তাদের সংখ্যা ৫০ লাখের উপরে চলে গেছে। বিভিন্ন বয়স ও শ্রেণী কোঠায় এরা অন্তর্ভুক্ত। এখন হঠাৎ করে তাদের যোগানে যদি ভাটা পড়ে তবে এরা কী করবে! আসক্তি এমন জিনিস যা সহজে সারানো মুশকিল। মাদক বিরোধী অভিযান সফল হলে বাংলাদেশের মাদকসেবীরা বা মাদকাসক্ত গোষ্ঠী হাত উঁচিয়ে বসে থাকবে এমনটি ভাবার কোন কারণ নেই। নেশার দ্রব্য খুঁজে পেতে তারা হন্নে হয়ে ঘুরে বেড়াবে শহরে গ্রামে বন্দরে। এদের পক্ষেই সম্ভব এক দ্রব্য থেকে অন্য দ্রব্যে ঝাঁপিয়ে পড়া। হাতের কাছে সেবন দ্রব্য না পেয়ে উন্মাদ হয়ে যাওয়া কিংবা সহজ কথায় ভিন্ন ভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে যাওয়াও অসম্ভব নয়। হতে পারে সেটা খুন-লুট-হত্যা-ধর্ষণের মত সামাজিক অপরাধ।
মোট কথা এই লক্ষাধিক লোকের জন্য কাউন্সেলিং বা সেবা প্রদান করা অতি জরুরী। সরকার মাদক অভিযানে সফল হোক বা নাই হোক মাদকাসক্তি সংক্রান্ত কাউন্সেলিং বা পরামর্শের প্রয়োজনীয়তা উড়িয়ে দেওয়া উচিৎ হবে না। এমন কোন বিধি ব্যবস্থা মাথায় নিয়ে চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে সরকার নেমেছে কিনা সেটাও আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব হয়নি।
পশ্চিমা জগতে একটি স্কুলে হঠাৎ বন্ধুকধারী আক্রমণ করে যদি জানমালের কোন ক্ষতিসাধন করতে সমর্থ হয় তখন স্কুলের সব ছাত্রছাত্রীদের কাউন্সেলিং এর আওতায় আনা হয়। তাদের মানসিক চিকিৎসা, সচেতনতা, ঘটনার প্রভাব বিস্তার নানা বিষয় নিয়ে আলাপ পরামর্শ এবং প্রয়োজন অনুযায়ী প্রতিকারের ব্যবস্থা করা হয়।
বিশ্বের নানান দেশে তো বটেই, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ড্রাগস কাউন্সেলিং বিশেষ বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। সেগুলো অনুসরণ করতে হবে সরকারকে। একথা স্বীকার্য যে পশ্চিমা দেশের তুলনায় বাংলাদেশে লোকবল, আর্থিক সঙ্গতিও সীমিত। অনেকটা দুর্বল অবস্থায় রয়েছে দেশের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বিভাগ ও বিভিন্ন কর্মসূচি। তাই হঠাৎ করে বিশেষ এক পরিস্থিতির কারণে দেশের বিরাট মাদক আসক্ত জনগোষ্ঠীকে খোলা বাজারে ছেড়ে দেওয়ার ফলাফল নতুন সমস্যার সৃষ্টি করবে।
আমরা হয়তো ভুলে গেছি ত্রিশ লক্ষ মানুষই শুধু হত্যা করা হয়নি, আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের নয় মাসে জ্বলাও-পোড়াও গৃহ ত্যাগ, মানসিক শারীরিক নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছিল সাড়ে সাত কোটি বাংলাদেশিকে। স্বাধীনতার পর দেশ গোছাতে গিয়ে প্রথম দিককার সরকার ট্রমা কাউন্সেলিং এর মত মহান দায়িত্বপূর্ণ কাজটি হাতে নিতে পারেনি। সাড়ে সাত কোটি মানুষের মধ্যে যাদের কাউন্সেলিং এর প্রয়োজন ছিল তারা কোন সাহায্য পায়নি তখন। কাজেই স্বাধীনতার পর দেশে যে সামাজিক ও আচরণগত অবক্ষয় দেখা দিয়েছিল তার জন্য প্রশাসনকে দায়ী করলে দোষের কিছু হবে না। কিন্তু সেই দোষ স্বাধীনতার পরবর্তী সরকারকে কেউ দেয়নি।
কেননা সকলেই জানে সদ্য স্বাধীন দেশের অবকাঠামো পুনর্নির্মাণ, মুক্তিযোদ্ধা ও শরণার্থীদের পুনর্বাসন, ঘরবাড়ি জমিজমার মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়া, বিদেশ থেকে সাহায্য যোগাড়, খাদ্য সরবরাহ, নতুন করে শত্রুর আগ্রাসন প্রতিহত, প্রশাসনিক অনভিজ্ঞতা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, অর্থনৈতিক অবস্থার নানান দিক বিবেচনা করেই হয়তো সে সময়ের সরকার এই প্রয়োজনীয় কাউন্সেলিং বা ক্ষত উপশমের জন্য কিছু করতে পারেনি। কিন্তু এখনতো সরকারে অবস্থান সম্পূর্ণ ভিন্ন। সরকার এখন শক্ত অবস্থায় অবস্থান করছে বলে দাবি করে আসছে। জলের গভীর থেকে আকাশ সীমা পর্যন্ত বিচরণের সাফল্য তাদের। কাজেই আশা করি সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠী বা ব্যক্তি এ ব্যাপারে কিছু করবেন। মনে রাখতে হবে পঞ্চাশ লক্ষ জনসাধারণকে যেন পথে ঠেলে না দেওয়া হয়। এক অভিযানে সফল হয়ে সরকারকে যেন অন্য অভিযানের প্রস্তুতি নিতে না হয় সেদিকে সরকারের মনোযোগ আকর্ষণ করছি।
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)