মাদক পাচারের নতুন রুট হিসেবে কারবারিদের নজর এখন ভারতের আসাম। বিজিবির মহাপরিচালক জানিয়েছেন, কক্সবাজার সীমান্তে বিজিবির ব্যাপক অভিযানের কারণে রুট পরিবর্তনের পাশাপাশি মাদক পাচারের জন্য স্থল সীমান্তের পরিবর্তে সমুদ্রপথ বেছে নিতে শুরু করেছে মাদক কারবারিরা।
দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর বাদ দিলে বাংলাদেশের প্রায় পুরোটাই ঘিরে আছে ভারত। আর কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তবর্তী অংশে রয়েছে মিয়ানমারের সীমানা। সীমান্তবর্তী এসব এলাকা দিয়েই বাংলাদেশে মাদক আসছে।
কক্সবাজারের উখিয়া এবং টেকনাফ সীমান্তবর্তী এলাকায় সম্প্রতি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক অভিযানে মাদকের ব্যাপকতা কমে এসেছে বলে দাবি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবির।
২০১৮ সাল থেকে ২০১৯ সালের আগস্ট পর্যন্ত বিজিবির অভিযানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ১ কোটি ৮৭ লাখ ৯৯ হাজার ২শ’৬৮টি ইয়াবা এবং ৬ লাখ ২৯ হাজার ৫শ’ ৪ বোতল ফেন্সিডিল এবং হেরোইনসহ মাদক উদ্ধার হয়েছে। এসব ঘটনায় মামলা হয়েছে ৪ হাজার ১শ’ ৯১টি। অভিযানে গিয়ে ৪৪ জন বিজিবির সদস্য আহত এবং খুলনায় ১ জন নিহত হন।
তবে বিজিবির মহাপরিচালক বলেছেন: বিজিবির সদস্য সংখ্যা প্রতিবেশি দেশের সমান হলে বিজিবি মাদক নির্মূলে আরও ভূমিকা রাখতে পারবে।
মাদক নিমূর্লে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানের পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টিতেও প্রচার চালাচ্ছে বিজিবি।
আরও দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: