মাদক, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে যুবলীগ জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরন করবে বলে মন্তব্য করেছেন যুবলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক চয়ন ইসলাম।
মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ যুবলীগের কেন্দ্রীয় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
চয়ন ইসলাম বলেন: আগামী ২৩ নভেম্বরের ৭ম জাতীয় কংগ্রেস বাস্তবায়নই আমাদের একমাত্র চ্যালেঞ্জ। আমরা সব ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধাবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করবো। উৎসবমুখর পরিবেশে একটি সুন্দর কংগ্রেস আয়োজন করবো।
তিনি বলেন: মাদক, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও অনুপ্রবেশকারীসহ যেকোনো অপরাধে সম্পৃক্তদের বিষয়ে আমাদের জিরো টলারেন্স। আসন্ন কংগ্রেসে তারা আমাদের সঙ্গে থাকতে পারবে না। আমরাও তাদের সঙ্গে থাকবো না।
তিনি আরও বলেন: আমরা এক মাস একদিন সময় পেয়েছি। এরমধ্যে সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় একটি সফল সম্মেলন করবো। এটাই এখন আমাদের একমাত্র চ্যালেঞ্জ।
এসময় সদস্য সচিব ও সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদও বলেন: ঐক্যবদ্ধভাবে নতুন দিনের জন্য একটি সুন্দর সম্মেলন করে কমিটি দেয়াই আমাদের প্রধান কাজ। আমরা নেত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করে আপনাদের নিয়ে এটি করবো।
২০ অক্টোবর দায়িত্ব পাওয়ার পর আজ প্রথম অফিসে আসেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক চয়ন ইসলাম ও সদস্য সচিব হারুনুর রশীদ।
বিকাল ৪টায় সংগঠনের কার্যানলয়ে ব্রিফিং করার কথা থাকলেও আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব আসেন ৫ টায়। জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নেতাকর্মীরা তাদের মিছিলের মাধ্যমে রিসিভ করে সংগঠনের কার্যালয়ে আনেন।
এসময় পুরো বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ ছিল যুবলীগের দখলে। মিছিলে-স্লোগানে তারা নতুন আহ্বায়ক-সদস্য সচিবকে স্বাগত জানান। এর আগে সংগঠনের কার্যােলয়ে নেতাকর্মীদের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খান সিনিয়র নেতারা।
এসময় প্রেসিডিয়াম সদস্য আতাউর রহমান, সাঈদুর রহমান সাঈদ, ফারুক হোসেন, মজিবুর রহমান চৌধুরী, আনেয়ার হোসেন, বেলাল হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক আতিক, এসএম জাহিদ, প্রচার সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ বাবলু, উপ স্বাস্থ্য সম্পাদক হেলালুদ্দিন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মাইনুল হাসান নিখিল, সাধারণ সাধারণ ইসমাইল হোসেন, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ রেজাউল করিম রেজাসহ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।