ইউরেনিয়াম নয়, বরং স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় ২০০ শতাংশ বেশি অ্যামোনিয়া গ্যাসের কারণে টাঙ্গুয়ার হাওরসহ বিভিন্ন হাওরে মাছের মহামারি হয়েছে। প্রয়োজনের তুলনায় ১০ শতাংশ কম অক্সিজেন থাকাও এ মহামারির কারণ।
টাঙ্গুয়ার হাওরের মাছের মহামারি ও পানি দূষণের কারণ অনুসন্ধানে ২২শে এপ্রিল কাজ শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগ। পানি ও মরা মাছসহ জলজ জীব ও উদ্ভিদ পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন তারা।
তাদের রিপোর্টে বলা হয়েছে, হাওরের পানিতে ইউরেনিয়ামের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি অ্যামোনিয়া গ্যাসের কারণে পানি অক্সিজেনশূন্য হয়ে যাওয়ার ফলেই এ দুর্যোগ ঘটেছে।
এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিস্তীর্ণ হাওর অঞ্চলের মাটি কিছুটা ড্রেজিং না করলে ভবিষ্যতেও এমন ঘটতে পারে।
হাওর অধ্যুষিত সিলেট বিভাগের ৪ জেলার সঙ্গে নেত্রকোণা ও কিশোরগঞ্জের কয়েক লাখ মানুষ দুর্ভোগে আছে। প্রায় ৪ লাখ হেক্টর জমির ফসল ডুবে গেছে। হাওরের মাছ এবং হাঁসও মরেছে।
ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে কিছু সতর্কতাও দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।
তারা মনে করছেন, এমন ঘটনার পেছনে জলবায়ু পরিবর্তনও একটি কারণ। এবছর গত বছরের চেয়ে ২০ দিন আগে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে।
ভবিষ্যতে হাওরে এ ধরনের ঘটনায় ক্ষতি কমাতে নতুন ধানের জাত উদ্ভাবনের তাগিদ দেন তারা।