একদিকে ক্রিস্টিয়ানো, অন্যদিকে লিভারপুলের তারকা ভার্জিল ফন ডাইক, ফিফার সেরা হওয়ার লড়াই ছিল এই দু’জনের সঙ্গেই। কিন্তু সেসব উড়িয়ে বার্সেলোনার লিওনেল মেসি জিতে নেন ফিফার বর্ষসেরা ‘দ্য বেস্ট’ পুরস্কার। এ নিয়ে ষষ্ঠবার মেসির মুকুটে যুক্ত হল ফিফা বর্ষসেরার পালক এবং সেই হিসেবে ৬-৫ পেছনে ফেলে দেন রোনালদোকে।
এবার সেরা হওয়ার ক্ষেত্রে মেসির পক্ষে দুটি বিষয় গেছে- প্রথমত, বার্সেলোনাকে লা লিগায় চ্যাম্পিয়ন করা এবং দ্বিতীয়ত, ক্লাবকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে তোলা।
স্বভাবতই, মেসি পুরস্কার পাওয়ার পর আসে রোনালদোর প্রসঙ্গ। মেসির কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল, তারা দু’জনে এত ভালোভাবে এগোচ্ছেন কীভাবে?
মেসির উত্তর, ‘গত কয়েক বছরে ক্রীড়াক্ষেত্রের সবচেয়ে বেশি আলোচনার কারণেই আমাদের মধ্যে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৈরি হয়েছে। এর একটা কারণ, আমি বার্সেলোনায় খেলি, আর রোনালদো এতদিন খেলত রিয়াল মাদ্রিদে এবং আমরা নিজেরা ও ক্লাবের হয়ে একাধিক ট্রফি জিতেছি। মানুষ হয়তো মনে করেন, এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা ফুটবলের বাইরেও বিস্তৃত। কিন্তু ঘটনা তা নয়।’
একটু থেমে মেসির সংযোজন, ‘আমরা দু’জনেই চাই আমাদের দলের জন্য সবচেয়ে ভালো যেটা, সেটা করতে এবং আমরা দু’জনের কেউই হারতে ভালোবাসি না। হারটা আমরা দু’জন স্বীকারই করতে চাই না। এজন্যই হয়তো আমাদের মধ্যে এত প্রতিদ্বন্দ্বিতা। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, এটা এখনো রয়েছে এবং তা শুধু মাঠের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।’
সেইসঙ্গে নিজের লক্ষ্য আরও একবার স্পষ্ট করে জানান মেসি। তার কথায়, ‘চার বছর হয়ে গেল, আমরা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছি। আমরা আরও একবার জিততে চাই। আমি জানি, এর জন্য প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে। না হলে এই স্বপ্ন অধরা থেকে যাবে।’
সেইসঙ্গে যে তার নজরে কোপা আমেরিকা তাও জানিয়ে দিয়েছেন সেরার সেরা, ‘চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সঙ্গে আমার চোখ চলতি বছরের কোপায় রয়েছে। আমি একবার ওই ট্রফি তুলতে চাই।’
আর্জেন্টিনা ফুটবল যে কোচ লিওনেল স্কোলানির নেতৃত্বে বড় পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তাকে সমর্থন করেন বলেই বর্ণনা করছেন মেসি। সেইসঙ্গে আর্জেন্টিনা ফুটবলে ডিয়েগো ম্যারাডোনার ফেরাটাকেও বড় আশীর্বাদ বলছেন এলএমটেন।
তার কথায়, ‘ম্যারাডোনা ক্লাব কোচিংয়ে ফেরায় আমি খুব খুশি। তিনি যখন জাতীয় দলের কোচ ছিলেন, তখন আমি খেলেছি। তিনিও খুব খুশি ছিলেন আমার পারফরম্যান্সে। ক্লাব কোচ হিসেবে তিনি খুব সফল হবেন মনে হয়। দেশের ফুটবলটাই তার আসল জায়গা।’