লা লিগায় স্বাভাবিকভাবেই অন্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে অনেকবেশি অর্থ আয় করছে রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা। টেলিভিশন সম্প্রচারের আয়ে এ দুই ক্লাবের মধ্যে আবার রিয়ালকে ছাড়িয়ে গেছে বার্সেলোনা। কাতালানদের আয় এখন ১৪৬.২ মিলিয়ন ইউরো। এতে মাঠের বাইরেও রিয়ালকে হারিয়ে চলেছে বার্সা।
স্পেনের বড় ক্লাবগুলোর সঙ্গে বাকিদের বৈষম্য প্রায়ই নানা প্রশ্নের মুখে ফেলে লা লিগা কর্তৃপক্ষকে। উদাহরণ হিসেবে টানা হয় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের কথা। সেটা থেকে মুক্তির রাস্তাও খুঁজছে লা লিগা। গত বছর কিছু উন্নতি হয়েছে বলে দাবি তাদের।
কর্তৃপক্ষের ‘মৃদু সন্তুষ্টির’ পরও আয়ে ক্লাবগুলোর মধ্যে বড় বৈষম্য দেখা যাচ্ছে এবারও। রিয়ালকে পেছনে ফেলা বার্সার আয় ১৪৬.২ মিলিয়ন ইউরো। ৫ মিলিয়ন কমে রিয়ালের ১৪০.১ মিলিয়ন ইউরো। আর তিনে থাকা অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের আয় সেখানে ৯৯.২ মিলিয়ন ইউরো।
শীর্ষ ছয় ক্লাবের মধ্য চারে থাকা অ্যাথলেটিক ক্লাবের আয় ৭১ মিলিয়ন, ভ্যালেন্সিয়া ৬৭.৩, আলাভেস ও লেগানেসের সমান ৩৯.৩ মিলিয়ন ইউরো করে।
এরআগে গত বছরের ডিসেম্বরে ফুটবল ক্লাবগুলোর আয়-ব্যয় নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান ডেলোয়েট মানি লিগের সর্বশেষ সংস্করণে দুদল চুলচেরা পার্থক্য বজায় রাখে। যেখানেও এগিয়ে ছিল বার্সেলোনা। ২০১৫-১৬ মৌসুমে বার্সার আয় ৬২০.২ মিলিয়ন ইউরো (৭৩৬.৭৪ মিলিয়ন ডলার)। আর একই সময়ে রিয়ালের আয় ছিল ৬২০.১ মিলিয়ন ইউরো।
বার্সা ২০১৭ সালের ফোর্বস স্পোর্টস মানি ইনডেক্সেও রিয়ালের উপরে অবস্থান করছে। এটি কোন ক্লাবের ব্র্যান্ড হিসাবে তাদের আনুমানিক মূল্য নির্ধারণ করে। এতে কাতালান ক্লাবের মূল্য ৩.৬৪ বিলিয়ন ডলার এবং রিয়ালের ৩.৫৮ বিলিয়ন ডলার।
আরও একটি দিকে এগিয়ে আছে বার্সা। ২০১৭ সালের গ্লোবাল স্পোর্টস স্যালারি সার্ভে অনুযায়ী, খেলোয়াড়দের গড় বেতন-ভাতায় বার্সেলোনাই এগিয়ে। স্কোয়াডের খেলোয়াড় প্রতি রিয়ালের ৮০,৯২,২৮৩ ডলারের তুলনায় বার্সার দেয় ৮৫,৭৬,৭৫০ ডলার।