২০১৬ সালে শিকাগো ফিল্ম ফেস্টিভালে পুরষ্কার পেয়েছিল বাংলাদেশের সিনেমা ‘মাটির প্রজার দেশে’। নির্মাণের কয়েক বছর পেরিয়ে গেলেও দেশে মুক্তি পায়নি গুপি বাঘা প্রডাকশনের এই সিনেমা। অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে এবার বড় পর্দায় আসতে চলেছে ছবিটি। আগামী ২৩ মার্চ তিনটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে।
বছর দেড়েক ধরেই থেমে থেমে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানের ফিল্ম ফেস্টিভালে ছবিটি মনোনীত কিংবা মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে লড়াই করে আসছে। আর সেই খোঁজ রেখেছেন দেশের খ্যাতিমান নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। সম্প্রতি ‘মাটির প্রজার দেশে’ মুক্তির আগে এই চলচ্চিত্র নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
ফেসবুক থেকেই প্রথম ‘মাটির প্রজার দেশে’র কথা জানেন ফারুকী। বিদেশের নানা উৎসব জয়ের পর বাংলাদেশে মুক্তি পাচ্ছে বলে পরিচালক বিজন ও প্রযোজক আরিফকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান ফারুকী।
মাত্র তিনটি হল পাওয়া নিয়ে এই চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সবার আক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে নিজের প্রথম চলচ্চিত্র নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন ফারুকী। তাঁর ভাষায়, ‘পরিচালক বিজন আর প্রযোজক আরিফের চ্যালেঞ্জের গল্প শুনতে শুনতে আমার নিজের প্রথম ছবির চ্যালেঞ্জের কথা মনে হচ্ছিলো, যখন একটা সিনেমা হল ও খুঁজে পাচ্ছিলাম না, একমাত্র বলাকা খুঁজে পাওয়া গিয়েছিলো। এখন তো দেখা যাচ্ছে তিনটি পাওয়া গেছে, স্টার সিনেপ্লেক্স, যমুনা ব্লকবাস্টার, রাজশাহীর উপহার এবং আমি নিশ্চিত এটা আরও বাড়বে’।
ফারুকীর মতে, এদেশের নির্মাতাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মূলধারার গল্পের গণ্ডি পেরিয়ে ভিন্ন ধারার গল্পের দর্শক তৈরি করা। সবার গল্প বলার ভঙ্গি এক না। নির্মাতাদের নির্মাণও ভিন্ন ভিন্ন রকম। দর্শকই সেই বৈচিত্র্যকে টিকিয়ে রাখতে পারেন চলচ্চিত্রগুলো দেখার মাধ্যমে।
১৫-২০ বছর ধরে যেভাবে বাংলা চলচ্চিত্রের পাশে দর্শক দাঁড়িয়েছে, সেভাবেই আবারও ‘মাটির প্রজার দেশে’ নিজে দেখে, অন্যকে দেখতে উদ্বুদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন ফারুকী।