চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

মাটিতেই পা রাখছেন নাসির

ছয়টা মাস। নাসিরের কাছে হয়ত ছয়টা বছর। এতদিন বাদে যখন জাতীয় দলে ফিরলেন, তখন খুশিতে দিশেহারা হচ্ছেন না। বলছেন, ‘সুযোগ পাওয়াটাই বড় কথা নয়। ভালো খেলাটাই সবার আগে।’

বিকেএসপিতে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ শেষ হতেই সাংবাদিকরা ঘিরে ধরেন নাসিরকে। ত্রিদেশীয় সিরিজের দলে ফিরে আসার দিনে নাসিরও কাউকে হতাশ করলেন না। খুলে দিলেন কথার ঝাঁপি।

‘আমি সব সময়ই চেষ্টা করেছি পারফর্ম করতে। যখনই যেখানে সুযোগ পেয়েছি, পারফর্ম করতে চেয়েছি। এখন সুযোগ পাওয়াই শেষ কথা নয়। আসল কাজ হলো সেখানে গিয়ে পারফর্ম করা।’ পোড় খাওয়া যোদ্ধার মতো বলতে থাকেন নাসির।

নাসিরকে দল থেকে বাদ দেওয়া নিয়ে নানা মুখরোচক কথা প্রচলিত আছে। শোনা যায়, প্রধান কোচ হাথুরুসিংহের সঙ্গে ঝামেলার কারণেই বারবার উপেক্ষিত থাকেন। আরও আগে দলে ডাকা পেতে পারতেন কি না, এমন প্রশ্ন ধেয়ে আসতেই কাট করলেন মি. ফিনিশার, ‘না। এটা আসলে বলা কঠিন। কারণ আমি চেষ্টা করছি দলে ফেরার জন্য। যারা আমাকে নির্বাচন করেছেন, তাদেরকে ধন্যবাদ। কারণ তারা আমার প্রতি আস্থা রেখেছেন।’

নাসির বাদ পড়া মানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিসিবির মুণ্ডপাত। নানা আলোচনা। মানুষ তাকে কতটা ভালোবাসে তা নাসির নিজেও টের পান, ‘মানুষ আমাকে পছন্দ করে, আমার জন্য দোয়া করে। এটা আমার বড় পাওয়া। সবাই যে আমাকে ভালোবাসে, উঠতে বসতে এর প্রমাণ পাই।’

দলের বাইরে থাকার দিনগুলোতে অনেকে অনেক কিছু করে ফিটনেস আর ফর্ম ধরে রাখার চেষ্টা করেন। নাসির জানালেন আলাদা তেমন কিছুই করেননি, ‘দলের বাইরে থাকলেও ম্যাচের ভেতর আছি। চারদিনের ম্যাচ খেলেছি। ইমার্জিং কাপ খেলেছি। অনুশীলনও করেছি। আমার মনে হয় এখন তারই পুরস্কার পাচ্ছি।’

প্রিমিয়ার লিগে নাসিরের দল এখন পর্যন্ত পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। নাসিরের ব্যাটও হাসছে নিয়মিত।

‘এখন আত্মবিশ্বাস অনেক ভালো। যখন রান আসে, তখন আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। আমার সেটাই হয়েছে।’

সেই ‘হওয়া’ নাসিরকে ছুঁয়ে গেলেও অতটা খুশি করতে পারছে না। সেটা তার কথা শুনলেই বোঝা যায়, ‘আমি অন্য কিছু নিয়ে ভাবছি না। বড় কথা হলো সুযোগ এলে ভালো খেলার চেষ্টা করবো।’

‘ভালো খেলে দলে জায়গা করে নিতে চাই,’ এই নাসির যেন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ!