ভারতের ছুঁড়ে দেয়া ১৭৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে চার উইকেট খুইয়ে বসেছে বাংলাদেশ। টাইগারদের প্রয়োজনীয় রানের গতিতেও পড়েছে ভাটা।
প্রেমাদাসায় ইনিংসের অর্ধেক ছুঁতেই সাজঘরে তামিম ২৭, লিটন ৭, সৌম্য ১ ও মাহমুদউল্লাহ। দলীয় সংগ্রহ ফিফটি পেরিয়েছে।
এর আগে টস জিতে প্রতিপক্ষকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আগের ম্যাচে ভাল করতে না পারা তাসকিনের জায়গায় একাদশে ঢোকা আবু হায়দার রনি শুরুটা দারুণ করেছিলেন। প্রথম ওভারে এক ওয়াইডে দেন দুই রান।
পরে রানের গতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেন মিরাজ-অপুরা। অন্যদিকে রোহিত শর্মা ও শেখর ধাওয়ান সুযোগ পেলেই ব্যাট চওড়া করা চেষ্টা করেছেন। চেষ্টার বিপরীতে প্রথম সাফল্য আনেন রুবেল হোসেন।
ইনিংসের দশম ওভারে স্লো-ইয়র্কারে ধাওয়ানের (৩৫) স্টাম্প উপড়ে উল্লাসে মাতেন। মিডল স্টাম্পের বল ড্রাইভ করতে যেয়ে থামে বাঁহাতি ওপেনারের ২৭ বলের ইনিংস। ৯.৫ ওভারে ভাঙে ৭০ রানের জুটি।
দেখেশুনে এগোতে থাকা রোহিত পরে সুরেশ রায়নাকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন। বাংলাদেশের বিপক্ষে তৃতীয় পঞ্চাশ স্পর্শ করতে ৪২ বলে খেলেন তিনি। ইনিংসের শেষ বলে ৮৮তে রানআউট হয়ে থামে তার ৬১ বলে সমান পাঁচটি করে চার-ছক্কার ইনিংস।
রোহিতের সঙ্গে ১০২ রানের জুটি গড়া রায়না ফেরেন ৩০ বলে ৪৭ করে। রুবেলের বলে সৌম্যের হাতে সীমানার কাছে ক্যাচ দিয়েছেন রায়না। নির্ধারিত ওভারে ৩ উইকেটে ১৭৬ রানে থামে ভারত।
৪ ওভারে ২৭ রানে দুই উইকেট নিয়ে সফল বোলার রুবেল। ৪ ওভারে ২৭ রান দুলেও উইকেটের দেখা পাননি নাজমুল অপু। মোস্তফিজ ৩৮ এবং আবু হায়দার ৪ ওভার করে হাত ঘুরিয়ে উইকেটশূন্য।
আগের ম্যাচেই শ্রীলঙ্কার দেয়া ২১৪ তাড়া করে জয়ের স্মৃতি নিয়ে নেমেছে বাংলাদেশ। ভারতের ছুঁড়ে দেয়া রানটা টপকে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস টাটকা স্মৃতি থেকেই পাওয়া যেত। কিন্তু মাঝ পথেই পথ হারা হয়েছে লাল-সবুজরা।