সিরিয়া থেকে সেনাবাহিনী সরিয়ে না নিতে এবং ধৈর্য ধরে সিরিয়া ইস্যুতে লেগে থাকতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভালোভাবে বুঝিয়েছিলেন বলে নিজেই জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ।
চলতি মাসের শুরুতে ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়া থেকে শিগগিরই সরে আসবে। অথচ সিরিয়ার রাসায়নিক হামলার জবাব হিসেবে গত শনিবারই যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্সের সঙ্গে মিলে হঠাৎ করে কিছু সরকারি এলাকা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় দেশটি।
তার পরামর্শ মেনেই ট্রাম্প সিরিয়া থেকে সেনা ফিরিয়ে না নিয়ে বরং বিমান হামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান মাক্রোঁ।
তবে বিমান হামলা চালালেও হামলার পরিমাণ সীমিত রাখার কথাও ট্রাম্পকে বলেছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র আর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে বলেই জানে সবাই। মার্কিন জোটের ওই সাম্প্রতিক সামরিক পদক্ষেপের আগের ক’দিন এই দু’জন দিনে বেশ কয়েকবার করে ফোনে কথা বলতেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
তবে মাক্রোঁর বক্তব্যের পর হোয়াইট হাউজ মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র তার মিশন বদলায়নি। প্রেসিডেন্ট স্পষ্ট করেই জানিয়েছেন, তিনি চান যত দ্রুত সম্ভব মার্কিন বাহিনী সিরিয়া থেকে ঘরে ফিরে আসুক।’
শুক্রবার ওয়াশিংটনে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে বিমান হামলার ঘোষণা দেয়ার সময়ও অবশ্য ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমেরিকা সিরিয়ায় কখনোই সিরিয়াতে অনির্দিষ্টকাল থাকতে চায় না – কোনো অবস্থায়ই না।’তবে স্যান্ডার্স এটাও জানান, যুক্তরাষ্ট্র জঙ্গি গোষ্ঠী কথিত ইসলামিক স্টেট (আইএস)-কে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিতে চায় এবং এমন অবস্থা করতে চায় যেন তারা আর ফিরে না আসতে পারে। এজন্য যতটা কাজ প্রয়োজন তা করবে যুক্তরাষ্ট্র।
বর্তমানে সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের হাজার দুয়েক সামরিক সদস্য স্থলবাহিনীতে দায়িত্ব পালন করছে। তারা বর্তমানে কুর্দি ও আরব মিলিশিয়ার জোট সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি (এসডিএফ)-র সহায়তায় রয়েছে সেখানে।