কক্সবাজার থেকে: টি-টুয়েন্টি সংস্করণে উইকেটের ফিফটির খুব কাছে রুমানা আহমেদ। টাইগ্রেস লেগস্পিনার ৫১ ম্যাচে ঝুলিতে ভরেছেন ৪৬ উইকেট। আর ৪ উইকেট পেলেই প্রথম বাংলাদেশি নারী ক্রিকেটার হিসেবে ছুঁয়ে ফেলবেন মাইলফলক।
মঙ্গলবার থেকে কক্সবাজারে শুরু হতে যাওয়া পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪ ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজেই মাইলফলকে নাম লেখাতে চান বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক রুমানা, ‘সবসময়ই লক্ষ্য থাকে দলের জন্য খেলার। যেহেতু মাত্র ৪ উইকেট দূরে, আশা করছি এই সিরিজেই হয়ে যাবে।’
আগে পঞ্চাশ কিংবা তার বেশি উইকেট শিকার করেছেন বিশ্বের ২১জন বোলার। প্রত্যাশা মতো উইকেট পেলে রুমানা হবেন ২২তম, আর বাংলাদেশের যেকোনো সংস্করণেই প্রথম।
রুমানার পেছনে আছেন টি-টুয়েন্টি অধিনায়ক সালমা খাতুন। ৫০ ম্যাচে এ অফস্পিনার নিয়েছেন ৪৩ উইকেট।
২০০৪ সালে মেয়েদের টি-টুয়েন্টি চালু হলেও বাংলাদেশ খেলার সুযোগ পায় ২০১০ সাল থেকে। ৮ বছরে টিম টাইগ্রেস খেলেছে ৫১ ম্যাচ। যার সবগুলোতেই ছিলেন রুমানা।
এ অলরাউন্ডার ব্যাট হাতে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে ৪৬ ইনিংসে করেছেন ৫৭১ রান। এক নম্বর অবস্থানে ফারজানা হক। ৪৩ ইনিংসে করেছেন ৬৭৪ রান।
ওয়ানডে সংস্করণে অবশ্য দুই বিভাগেই রুমানা শীর্ষে। ৩৫ ইনিংসে ৭৩৪ রানের পাশাপাশি ৩৭ উইকেট নিয়েছেন ওয়ানডেতে দেশের হয়ে প্রথম ও একমাত্র হ্যাটট্রিক করা এ বোলার।
রুমানার পথচলা ও মাইলফলকের হাতছানি প্রসঙ্গে চ্যানেল আই অনলাইনের মুখোমুখি হয়েছিলেন নারী ক্রিকেটের দেখভালের দায়িত্বে থাকা নাজমুল আবেদিন ফাহিম। সাবেক এ ক্রিকেট কোচের চোখে রুমানা আন্তর্জাতিক মানের একজন ক্রিকেটার।
‘লেগস্পিনার হিসেবে রুমানা আমাদের দলে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। সে একজন উইকেট টেকিং বোলার। গত তিন-চার মাস যত ম্যাচ খেলেছি, সেখানে যখনই বোলিংয়ে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট নিয়েছে। ও বোঝে কখন কীভাবে বল করা উচিত। মাইলস্টোনের ব্যাপারটা ও কীভাবে দেখবে জানি না। এখানে মূখ্য হল ওর নেয়া উইকেটগুলোর গুরুত্ব কতটা। রুমানা উইকেটগুলো গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে পায়। গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ ব্রেক করে।’
‘৫০ উইকেট, এটা ওর আত্মবিশ্বাসের জন্য ভালো হবে। ও যখন দেখবে ওই লিস্টের মধ্যে আছে তখন আত্মবিশ্বাস আরও বাড়বে। আমরা সবাই আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন খেলোয়াড় দেখতে চাই। ওই মানটা অর্জন করা খুব জরুরী। ওই মানের খেলোয়াড় সব দলেই কিছু কিছু করে আছে, সবাই না। আমাদের দলেও হয়ত কয়েকজন আছে তার মধ্যে রুমানা একজন।’