মহাসাগরে অতিরিক্ত প্লাস্টিক দ্রব্যের কারণে পরিবেশ বিপর্যয় মুখে পড়তে যাচ্ছে। এই অতিরিক্তি দূষণ প্রাণীকুলের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। মহাসাগরে প্রতি দশকে প্লাস্টিক দ্রব্যের উপস্থিতি প্রায় তিনগুণ হারে বাড়ছে। সেই হিসাবে ২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বর্তমানের চেয়ে তিনগুণ প্লাস্টিক বর্জ্য বৃদ্ধি পাবে। এসব প্লাস্টিক দ্রব্যের কারণে সমুদ্রের পানির লেভেল এবং পরিবেশের তাপমাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
যুক্তরাজ্যের জাতীয় সামুদ্রিক গবেষণাগারের এক রিপোর্টে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
মহাসাগরের এসব দূষণ থেকে মুক্তি পেতে আগামী দিনের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে সংশ্লিষ্টদের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার।
ওই রিপোর্টে বলা হয়, মহাসাগর সম্পর্ক আরো বিস্তারিত জানা প্রয়োজন। মহাসাগরকে নিরাপদ রাখতে আলাদা ‘ওশান প্লানেট’ তৈরি করা এখন সময়ের দাবি।
পরিবেশ নিয়ে লেখা ওই রিপোর্টে পরিবেশের উপর প্লাস্টিকের স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘ মেয়াদি প্রভাব তুলে ধরা হয়। পরিবেশ রক্ষায় একটি যৌথ মহাসাগরীয় পলিসি গ্রহণের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
যুক্তরাজ্যের জাতীয় সামুদ্রিক গবেষণাগারের অন্যতম গবেষক প্রফেসর এডওয়ার্ড হিল বিবিসিকে বলেন, ‘আমাদের সমুদ্র নির্ভর ভবিষ্যৎ অর্থনীতির জন্য মহাসাগরগুলো খুব নাজুক অবস্থা হয়েছে। আগামীতে নয় বিলিয়ন মানুষ তাদের খাদ্যের জন্য সমুদ্রের দিকে ধাবিত হবে। অথচ মহাসাগরের তলদেশে কী আছে আমরা এখনো সম্পূর্ণ জানি না।’
‘‘আমরা পৃথিবীর বাইরে কী আছে জানতে প্রচুর অর্থ এবং আগ্রহ প্রকাশ করি কিন্তু সেখানে কোন প্রাণের অস্তিত্ব নেই। অথচ সমুদ্র তলদেশে প্রচুর প্রাণের অস্তিত্ব বিরাজ করছে। সত্যিকার অর্থে ‘ওশান প্ল্যানেট’তৈরি করা আমাদের খুব প্রয়োজন। কারণ এটাই আমাদের শেষ সীমানা।’’
যুক্তরাজ্যের পরিবেশ বিভাগের প্রধান বিজ্ঞানী ইয়ান বয়েড বলেন, মহাসাগরের অবস্থা চোখের আড়াল হলে মনের আড়ালের মত অবস্থা হয়েছে। তেল কোম্পানি, খনি উৎপাদনের ফার্মের বর্জ্য মহাসাগরের পতিত হওয়ার কারণে মহাসাগরের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
দূষণ রোধে এসব কোম্পানি সঠিকভাবে পরিচালনা করতে রেগুলেটরি কমিশন তৈরির কথা বলেন এই বিজ্ঞানী।