গত প্রায় দেড় বছর যাবৎ করোনাভাইরাসে বাংলাদেশ এক প্রকার অচল হয়ে আছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ব্যবসা আজ চরম হুমকির মুখে। দেশের মানুষের আয় বৈষম্য বেড়ে গেছে অনেক। ভ্যাকসিনের অপ্রতুলতা আর জনগণের স্বাস্থ্যবিধি না মানায় এই ভাইরাসের প্রকোপ এমনই বেড়েছে যে সর্বোচ্চ মৃত্যু দেখেছি আমরা। সরকার নানা উদ্যোগের পাশাপাশি তৃতীয়বারের মত কঠোর লকডাউন ঘোষণা করার পর প্রথমদিনেই মৃত্যুর রেকর্ড। সার্বিকভাবে লকডাউন যেমনটা হওয়ার কথা ছিল তেমনটা হচ্ছে না। জনগণও বিধিনিষেধ মানছে না। এই লকডাউন অর্থহীনতায় পর্যবসিত হয়েছে। জনগণকে এই ভাইরাসের ভয়বহতা বোঝানো যাচ্ছে না। আবার সরকারও কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এই অবস্থায় নিশ্চিত মৃত্যুর অপেক্ষা করা ছাড়া এই জনপদের মানুষের যেন কিছুই করার নেই।
গতকাল চ্যানেল আই অনলাইন’র সংবাদে বিস্তারিত প্রকাশ হয়েছে। কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৪৮১তম দিনে দেশে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছে। শুক্রবারও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছে।
আমরা মনে করি দ্রুত বাড়তে থাকা মৃত্যুর হার কমাতে সরকারকে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কার্যকরি পদক্ষেপ নিতে হবে। জনগণের জন্য ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য কঠোর কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। এই মহামারির বিভৎস রূপ দেখার আগেই এখনই সরকার ও তার সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহকে কাঠামোগতভাবে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। নতুবা মৃত্যু ও মড়কের ইতিহাসে বাংলাদেশের সকল অর্জন ধূলিস্যাৎ হয়ে যাবে।