করোনা মহামারির কারণে এবার অমর একুশে বইমেলার পিছিয়ে গেছে দুই সপ্তাহ, সময়ও হয়েছে সংক্ষিপ্ত। তবে অনলাইন প্লাটফর্মে বইমেলার আয়োজন করছে বিভিন্ন বিপণন প্রতিষ্ঠান ও প্রকাশক সংস্থাগুলো।
কবিতার বইয়ের পাঠক সবসময়ই কিছুটা কম হলেও, এবার ভালো সাড়া পেয়েছে কবি আলীম হায়দারের ‘স্বপ্নলোকে সন্ত্রাস’ কাব্যগ্রন্থটি। মহামারিকালের মনস্তত্ত্ব নিয়ে রচিত কাব্যগ্রন্থটি প্রিঅর্ডারেই বিক্রি হয়েছে শতাধিক কপি। করোনাকালীন সময়ে লেখা কবিতাগুলোর ভেতর থেকে নির্বাচিত ৪০টি কাব্য নিয়ে কবি আলীম হায়দার সাজিয়েছেন এই গ্রন্থটি।
২০২২ সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলা উপলক্ষে আলীম হায়দারের নতুন কাব্যটি প্রকাশ করেছে অগ্রদূত অ্যান্ড কোম্পানি। প্রচ্ছদ করেছেন আইয়ুব আল আমিন।
বইটি বাজারজাতকরণের ব্যাপারে প্রকাশক মনি মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, ‘কাব্যটি প্রকাশের শুরু থেকেই ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। প্রি-অর্ডারেই রকমারি ডটকম ও অগ্রদূতের অনলাইন বিপণনের মাধ্যমে শতাধিক কপি বিক্রি হয়েছে। প্রতিদিনই কিছু না কিছু অর্ডার আসছে।’
নিজের পঞ্চম কাব্যগ্রন্থ ‘স্বপ্নলোকে সন্ত্রাস’ সম্পর্কে কবি আলীম হায়দার বলেন, ‘করোনা মহামারীর সময়কার মানসিক অবস্থা, সামাজিকতার মুখোশ খুলে বেরিয়ে পড়া মানব সত্তার অচেনা রূপ, জীবন-দর্শন, বাজারযুগের পৃথিবী এবং প্রকৃতির অভিঘাত নিয়েই রচিত হয়েছে কাব্যগুলো। বেশি কিছু বলতে চাই না। সক্ষম পাঠক ও সমালোচকরা বাকিটা মূল্যায়ন করবেন।’
গ্রন্থটি প্রকাশের পর কবিতাগুলো নিয়ে ফেসবুকে নিজস্ব মতামত ব্যক্ত করেছেন আমেরিকা প্রবাসী যোগাযোগ বিষয়ক শিক্ষক ও গবেষক ফরচুন শামীম। তিনি লিখেছেন, ‘কবি আলীম হায়দারের কবিতায় আরো ফুটে উঠেছে কারখানায় কাজ-করা শ্রমিক, দিনমজুর, গার্মেন্টেসের নারী শ্রমিকদের কথা। পুঁজিপতি মালিকের নোংরা মানসিকতার কথা। অথচ এই দুঃসময়ে কী দারুণ শক্তি নিয়ে টিকে আছে শ্রমজীবী মানুষ, যেন বেঁচে থাকাটাই একমাত্র সার্থকতা।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী এবং নিমগ্ন চিত্তের পাঠক হিসেবে ক্যাম্পাসে সুপরিচিত মো. হাফিজ আহমেদ নয়ন রকমারি রিভিউতে লিখেছেন, ‘সমকালের অন্যতম প্রাসঙ্গিক কবি আলীম হায়দারের ‘স্বপ্নলোকে সন্ত্রাস’ কাব্যগ্রন্থটি ৪০টি ঝরঝরে কবিতায় সাজানো হয়েছে। আমার মনে হয় ইচ্ছে করেই প্রতিটি কবিতার আলাদা নাম দেওয়া হয়নি, ‘স্বপ্নলোকে সন্ত্রাস’ শিরোনামই প্রতিটি কবিতাকে শিরোধার্য করেছে, গ্রন্থের সব কবিতায় একটি ভাবধারাকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। মনে হয়েছে: আবেগের প্রকাশ প্রকৃতির স্পর্শে এক অপূর্ব নিস্তব্ধতার কাছে চলে গিয়েছে।’