মহাকাশ গবেষণা সংস্থায় কাজ করার স্বপ্ন এবার পূরণ হবে অনেকের। বুধবার মহাকাশচারী চেয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে নাসা। এইসব মহাকাশচারীরা মহাকাশসংস্থা নাসার বাণিজ্যিকভাবে তৈরি ডিপ স্পেস অরিওন ক্যাপসুলে করে ভবিষ্যতে কোনো মহাকাশ গবেষণাকাজে অংশ নেবে।
২০১১ সালে নাসার আমেরিকান স্পেসফ্লাইট প্রোগ্রামের সূচনা করে। এর আগে সবগুলোই ছিলো স্পেস শাটল। এই কার্যক্রমে এখন ৪৭ জন মহাকাশচারী রয়েছে কিন্তু নাসা তার কর্মীদের একটু বিশ্রাম দিতে চায়ছে, তাই এই বাড়তি মহাকাশচারী নেওয়ার প্রক্রিয়া। এর আগে ২০০০ সালে স্পেস শাটল যুগের শুরুতে নাসার মহাকাশচারী ছিলো ১৪৯ জন।
২০১৭ সালের আগে যদিও কোনো মহাকাশ ফ্লাইট নেই। তবুও এরই মধ্যে চারজন মাহাকাশচারীকে নির্ধারণ করে ফেলেছে ২০১৭ সালের বোয়িং এর নতুন স্পেসশিপ সিএসটি-১০০ স্টারলাইনার এর জন্য।
ডিপ স্পেসের গবেষণার লক্ষ্য পূরণের জন্য এবং স্পেস স্টেশনে থাকার জন্য আমাদের আরো বেশি বেশি কর্মী প্রয়োজন, এক বিবৃতিতে এমনটাই জানায় নাসা।
নাসা এবং আমেরিকার ব্যক্তিগত অরোস্পেস কোম্পানীগুলো ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে নতুন মিশনের জন্য তৈরি হচ্ছে। একই সঙ্গে ২০৩০ সালে মঙ্গলে পা দেওয়ার প্রস্তুতিও চলছে পুরোদমে।
এই বছরের ডিসেম্বরের ১৪ থেকে পরের বছরের ফেব্রুয়ারির মাঝ বরাবর চলবে আবেদনপত্র সংগ্রহ। তবে আগ্রহীদের অবশ্যই আমেরিকার বাসিন্দা হতে হবে। ইঞ্জিনিয়ারিং, বায়োলজিকাল সায়েন্স, ম্যাথমেটিকস, ফিজিক্যাল সায়েন্সে পড়াশোনা থাকতে হবে।
এখানেই শেষ নয়, নাসার বেশ লম্বা শারীরিক পরীক্ষায়ও উৎরে যেতে হবে। তবে স্পেসক্রাফটে বসার সুযোগ পাবে মহাকাশ ভ্রমণেচ্ছুরা।