ইরাকে আইএসের কবল থেকে মসুল শহর পুনর্দখলে চূড়ান্ত অভিযান চালাচ্ছে ইরাকি বাহিনী, কুর্দি পেশমের্গা ও তাদের মিত্রবাহিনী। চলছে তুমুল লড়াই। কুর্দি বাহিনীর দাবি, মসুলের দিকে অগ্রসর হওয়ার পথে তারা বেশ কয়েকটি গ্রাম পুনরুদ্ধার করেছে। ওদিকে মসুলের প্রায় ১৫ লাখ মানুষের নিরাপত্তার ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।
সোমবার ভোর থেকে ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর এবং আইএসের সবচেয়ে বড় ঘাঁটি মসুলের দখল ফিরে পেতে সামরিক অভিযান শুরু করে ইরাকি বাহিনী। আইএসের অবস্থান লক্ষ্য করে ব্যাপক গোলাবর্ষণ করে যৌথবাহিনী।
ইরাকি সরকার ও তাদের মিত্রবাহিনী বলছে, তারা অনেক এলাকা তাদের দখলে নিয়েছে। ট্যাংকগুলো শহরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। কুর্দিস্তান পার্টির প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, মসুলের আশেপাশের প্রায় দু’শ কিলোমিটার এলাকা আইএসের দখলমুক্ত করেছে।
মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটসহ ইরাকি ও কুর্দি বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে স্থানীয়দের ঢাল হিসেবে ব্যবহার ও আত্মঘাতী হামলার পুরনো কৌশল নিয়েছে আইএস। অবরুদ্ধ বাসিন্দাদের শহর ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ও শহরের বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়েছে আইএস। কুর্দি বাহিনীকে লক্ষ্য করে আত্মঘাতী হামলা চালাচ্ছে জঙ্গিরা। আইএসের নিজস্ব গণমাধ্যম আমাক নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, কুর্দিদের বিরুদ্ধে আটটি আত্মঘাতী বোমা হামলা চালিয়েছে।
এদিকে মসুল পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ের প্রভাবে ব্যাপক মানবিক সংকট তৈরি হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর আশঙ্কা করছে অভিযানের কারণে প্রায় এক লাখ মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়বে। ক্ষতিগ্রস্থ হবে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ।