এক বছর ধরে জঙ্গি সংগঠন আইএস এর দখলে ইরাকের ঐতিহ্যবাহী শহর মসুল। জীবনের নিরাপত্তা আরা স্বাধীন চলাচলের সুযোগবিহীন মসুলবাসীর প্রতিটি দিন কাটে দুঃস্বপ্নের মতো। সম্প্রতি প্রকাশিত গোপনে ধারণ করা কিছু ভিডিওতে উঠে এসেছে শহরের বাসিন্দাদের মানবেতর জীবনযাপনের চিত্র।
ইসলামের নামে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসা জঙ্গি সংগঠন আইএস নারীদের প্রতি অমানবিক আচরণের জন্য শুরু থেকেই নিন্দিত। সম্প্রতি প্রকাশ পাওয়া ইরাকের মসুলের ভিডিওগুলোর একটিতে দেখা যায়, শরীরের পুরোটা ঢাকার পরও শুধুমাত্র হাত দেখা যাওয়ায় এক নারীর সাথে দুর্ব্যবহার করছে জঙ্গিরা।
ধর্মচর্চার স্বাধীনতা নেই মসুল শহরে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা অনেক আগেই বাড়িঘর ছেড়ে চলে গেছেন। ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে তাদের সম্পত্তি। একমনকি খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বাড়ি বাইরে ‘নাসারা’ শব্দটি লিখে চিহ্ন দিয়ে রেখেছে জঙ্গিরা।
ইসলামিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা বললেও ইসলামের অনেক নিদর্শনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয় ইসলামিক স্টেট। ভিডিওতে দেখা যায় বোমা দিয়ে উড়িয়ে দেয়া হচ্ছে মসজিদ আর মাজার। ভবন থেকে ফেলে, পাথর ছুঁড়ে অথবা হাত কেটে এবং হত্যা করে কথিত অপরাধের বিচার করছে জঙ্গি সংগঠনটি।
ইরাক সরকারের রেখে যাওয়া সম্পদ আর প্রযুক্তি ব্যবহার করে দুঃশাসনকে নতুন মাত্রা দিয়েছে আইএস। ইরাকী সেনাবাহিনীর ফেলে যাওয়া ভারী অস্ত্র তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবহার হচ্ছে।
শহরে জ্বালানি সঙ্কট প্রচণ্ড, থেমে আছে সব নির্মাণ কাজ। দূষণ ছড়িয়ে পড়ছে শহরে। বন্ধ অনেক স্কুল। এমন পরিস্থিতিতে একটা বছর কাটিয়ে দিলেও, আর কতোদিন সম্ভব তা নিয়ে সন্দিহান মসুলের মানুষ।