উপসাগরীয় অঞ্চলে সামরিক শক্তি জোরদার করতে আরো মার্কিন সৈন্য পাঠানোকে নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে সর্তক করছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।
তিনি আরও বলেন, বিদেশি সেনারা সর্বদা নিরাপত্তার নামে ‘দুর্দশা’ নিয়ে আসে। আমি মনে করি অস্ত্রের লড়াই পরিহার করা উচিত।
সৌদি আরবের তেল স্থাপনায় হামলার জন্যে যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করে রুহানি বলেন, এ হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র আরও সেনা পাঠাচ্ছে সৌদি আরবে।
এসময় তিনি বলেন, ইরান আগামী জাতিসংঘে নতুন উপসাগরীয় শান্তি উদ্যোগ উপস্থাপন করবে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র কিংবা সৌদি আরব যদি কোনো সামরিক হামলা চালায় তাহলে ‘সর্বাত্মক যুদ্ধ’ শুরু হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ। সৌদি তেল স্থাপনায় ড্রোন হামলাকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হওয়া উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে এমন মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
গত বৃহস্পতিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ হুঁশিয়ারি জানান তিনি। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যুদ্ধ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের হাতে বিকল্প রাস্তা খোলা আছে।
গতকাল ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, আমরা যুদ্ধ চাই না। আমরা সামরিক মোকাবিলায় জড়িত হতে চাই না। কিন্তু নিজেদের ভূখণ্ড রক্ষার ক্ষেত্রে বিন্দুমাত্র হেলাফেলা করব না।
গত শনিবার সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি আরামকোর দুটি বৃহৎ তেল স্থাপনায় ড্রোন হামলা চালানো হয়। ঐ হামলার পর সৌদি আরবের তেল উৎপাদন অর্ধেকে নেমে আসে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেন। স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ করে হামলার নেপথ্যে ইরান জড়িত রয়েছে বলে দাবি করে ওয়াশিংটন।
হামলার পর ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথিরা দায় স্বীকার করলেও যুক্তরাষ্ট্র তা প্রত্যাখ্যান করেছে। এদিকে গতকাল লস অ্যাঞ্জেলেসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, আমরা ইরানের ওপর বিশেষ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছি। সামরিক অভিযান চালানো হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেছিলেন, সব পথই খোলা রয়েছে। তবে যুদ্ধ ছাড়াও বিকল্প ব্যবস্থা আছে। তিনি আপাতত যুদ্ধ এড়ানোর ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, নিতান্ত বাধ্য হলে সেই পথে যেতে পারেন তিনি।