নাটকীয়ভাবে টটেনহ্যাম হটস্পারের কোচ বদল হয়ে গেছে। গত মৌসুমে যার হাত ধরে তারা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠেছিল, সেই মাউরিসিও পচেত্তিনোকে বহিষ্কার করে ক্লাবটি কোচ করেছে রিয়াল মাদ্রিদ, চেলসি ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক বস হোসে মরিনহোকে। পচেত্তিনোকে সরিয়ে মনিরহোর হাতে ক্লাবের জার্সি তুলে দেয়ার পর্বটা মিটতে ২৪ ঘণ্টা সময়ও লাগেনি।
কোচ হওয়ার পর মরিনহো বলেছেন, ‘আমি খুবই রোমাঞ্চিত এই ক্লাবে যোগ দিয়ে। কারণ ক্লাবটির ঐতিহ্য আর এখানকার সমর্থকদের ফুটবলপ্রেম আমার জানা।’ সঙ্গে জুড়েছেন, ‘টটেনহ্যামের শুধু সিনিয়র দল নয়, একাডেমিও আমাকে আকৃষ্ট করেছে। এইসব ফুটবলারদের সঙ্গে কাজ করতেই এই দায়িত্ব নিলাম।’
টটেনহ্যামের চেয়ারম্যান ড্যানিয়েল লেভি বলেছেন, ‘মরিনহো বিশ্বের অন্যতম সফল ম্যানেজার। তার অভিজ্ঞতা যেকোনো দলের সম্পদ। তাকে দায়িত্ব দিয়ে আমরা ড্রেসিংরুমের এনার্জি আরও বাড়াতে চাইছি।’
৩৩৮ দিন আগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে চাকরি যাওয়ার পর দুটি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ও তিনটি ইপিএল খেতাব জেতা মরিনহো বসেই ছিলেন। বিভিন্ন ক্লাবের অফার পেলেও তা গ্রহণ করেননি। আসলে ইপিএলের চ্যালেঞ্জ নেয়াটাই লক্ষ্য ছিল ৫৬ বছর বয়সী কোচের।
স্পারদের দায়িত্ব নেয়াটা ‘দ্য স্পেশাল ওয়ানে’র কাছে গোলাপ বিছানো পথ হয়ত হবে না। বরং হবে কন্টকাকীর্ণই। সাড়ে পাঁচ বছর ধরে টটেনহ্যামে কোচিং করিয়ে আর্জেন্টাইন পচেত্তিনো ফুটবলারদের মন জিতে নিয়েছিলেন। তারই প্রভাব দেখা যায়, পচেত্তিনোকে সরানোর পরই দলের মহাতারকা হ্যারি কেনের টুইটে।
ইংলিশ স্ট্রাইকার পচেত্তিনোর উদ্দেশ্যে লেখেন, ‘কোচ আমি সারাজীবন তোমার কাছে কৃতজ্ঞ থাকব। কারণ আমার স্বপ্ন তুমি সত্যি করতে সাহায্য করেছিলে। সাড়ে পাঁচ বছর ধরে তোমার সঙ্গে অনেক সুখের মুহূর্ত আমার রয়েছে। যা ভুলব না। তুমি আমার ম্যানেজার ও বন্ধু। তোমার নতুন জীবনের জন্য শুভেচ্ছা রইল।’
পচেত্তিনো অবশ্য এখনো নতুন কোনো কাজ পাননি। তাকে পেতে আগ্রহী বিশ্বের অনেক নামী-দামী ক্লাবই।