হোসে মরিনহোর একটি তিরস্কারের পর রেফারি মার্ক ক্লাটেনবার্গ বলেছেন নিজের কাজটাই ছেড়ে দিতে চান তিনি। ক্লাটেনবার্গ এটাও নিশ্চিত করেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতেই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের রেফারির পদ ছেড়ে দেবেন।
ইপিএল ছাড়ার পর সৌদি আরব ফুটবল ফেডারেশনের রেফারির প্রধান হবেন ক্লাটেনবার্গ। ২০০৪ সালে প্রিমিয়ার লিগে ম্যাচ পরিচালনায় অভিষেক হয় ৪২ বছর বয়সী এই রেফারির।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও স্টোক সিটির একটি ম্যাচের পরই এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছেন তিনি।
ওই ম্যাচে ম্যানইউর হয়ে ববি চার্লটনের সর্বোচ্চ গোলস্কোরের রেকর্ড ভাঙেন ওয়েন রুনি (এখন এভারটনে খেলেন)। কিন্তু সেদিন জয় পায়নি মরিনহোর দল। ১-১ গোলে ড্র করেছিল। মরিনহোর দাবি করেন, সেদিন তার দল আরও বেশি গোল পাওয়ার যোগ্য ছিল।
ক্লাটেনবার্গ বলেন, ‘ওই ম্যাচে আমি রেফারি ছিলাম। রুনি সেদিন চার্লটনের রেকর্ড ভেঙেছিল। পরে মরিনহোর আমার ড্রেসিংরুমে এসে পেনাল্টি নিয়ে নিজের অখুশির কথা জানায়। যেটা আমি দেয়নি।’
আরও বলেছেন, আমি মাঠের মধ্যদিয়ে হেঁটে বেরিয়ে যাচ্ছিলাম, তখন স্টোকের মাঠ ছিল নীরব। তবু ম্যানইউর ম্যাচ পরিচালনা করাটা সহজ ছিল না।
ম্যাচ শেষে অনুভূতি ছিল, আমি আসলেই ভাল পারফরম্যান্স করেছি। একটা স্বস্তি নিয়ে ড্রেসিংরুমের ভেতরে আসি। কিন্তু মরিনহোর এসে হ্যান্ডবলের জন্য আমার পারফরম্যান্সের সমালোচনা করেন, যেটা স্পষ্টভাবে ডিফেন্ডারের বুকে লেগেছিল। জানতাম যে আমার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। কিন্তু তিনি আমার মনে সন্দেহের একটি বীজ লাগাতে চাইলেন- যোগ করেন ক্লাটেনবার্গ।
পরের ঘটনা বর্ণনা দিয়ে অভিমানী রেফারি বলেন, আমি ২৫০ মাইল দূরে গাড়ি চালিয়ে বাড়ি ফিরলাম। যাচ্ছিলাম আর চিন্তা করছিলাম, আমি একটা বড় ভুল করেছি? আমার মনোভাব যে বদলে গেছে সেটা স্ত্রী বুঝতে পারলেন। নিজে ভাবছি, আর বলছি, আমি কি রেফারিং ছেড়ে দিতে চাই? আমি সত্যিই রেফারিং করতে চাই না? আমি আত্মার সন্ধানে গেলাম। সেখানে কাজটা যত মন দিয়ে করতাম, এরপর আর কখনও ততটা উপভোগ করতে পারলাম না। যার ফলে এখান থেকে আমাকে বের হতেই হল।