আন্দামান সাগরে ভাসা অভিবাসীদের মানবিক সাহায্যের জন্য মার্কিন উদ্ধারকারী দলকে সহায়তা দিতে উড়োজাহাজের উড্ডয়ন এবং অবতরণ সুবিধার একটি জাহাজ পাঠাচ্ছে থাইল্যান্ড।
প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চ্যান-ও-চা বলেছেন, ৪.৯ বিলিয়ন ডলারের ‘রণতরী অং থং’ সহায়তা এবং উদ্ধারে ভাসমান বেস হিসেবে কাজ করবে।
আন্দামান সাগরে থাই নৌবাহিনীর সদস্যরা ওই জাহাজটিকে প্লাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করে মার্কিন এয়ারফোর্স এর টহলে পাওয়া অভিবাসীদের মানবিক সাহায্য পৌঁছে দেবে।
থাই প্রধানমন্ত্রী জেনারেল প্রায়ুত বলেন, সাগরে যদি অবৈধ অভিবাসীদের কোনো নৌকা পাওয়া যায় তাহলে সেগুলোকে সাহায্যের জন্য বড় জাহাজটির কাছে পাঠানো হবে। মার্কিন হেলিকপ্টারগুলো যেনো আশ্রয়প্রার্থীদের কাছে পৌঁছাতে পারে সেই ব্যবস্থাও করবে ‘রণতরী অং থং’।
এরপর থাই কর্তৃপক্ষ ওই অভিবাসীদের সাময়িক আশ্রয় দেয়ার জন্য মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় পাঠাবে। মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া অবৈধ অভিবাসীদের সাময়িক আশ্রয় দিতে রাজি হলেও থাইল্যান্ড এমন কোনো প্রতিশ্রুতি দেয়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে প্রস্তুত আছে।
থাই প্রধানমন্ত্রী জানান, থাইল্যান্ডের সাগরে অভিবাসীরা অসুস্থ থাকলে তাদের থাইল্যান্ডের হাসপা্তালে চিকিৎসাও দেয়া হবে। তবে এক্ষেত্রে তিনি শর্ত দেন যে অভিবাসীদের অবৈধ অনুপ্রবেশের জন্য জরিমানা করা হবে।
মার্কিন কর্তৃপক্ষ বঙ্গোপসাগরে আকাশপথে টহল দিয়ে অবৈধ অভিবাসীদের নৌকা খুঁজে বের করার কর্মসূচি ঘোষণা করলে থাইল্যান্ড ল্যান্ডিং প্ল্যাটফর্মের সুবিধাসহ জাহাজ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
তবে এই সহায়ক কর্মসূচি থাইল্যান্ডের সীমানায় হবে বলে তা থাই কর্তৃপক্ষের অধীনেই হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী জেনারেল প্রায়ুত।
থাইল্যান্ডের নৌবাহিনী প্রধান ক্রেইসন চানসুওয়ানিচ বলেন, নৌ বাহিনীর কাজে ব্যবহার হওয়া ফুকেট এয়ারপোর্টটি এখন তারা সহায়তার কাজে ব্যবহার করবেন। এ অভিযানে দুটি ডোরনিয়ার পেট্রোল প্লেন এবং একটি জাহাজও কাজে লাগানো হবে।
গত সপ্তাহে থাই্ পররাষ্ট্রমন্ত্রী তানসাক পাতিমাপ্যারাগন মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে হাজারো রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশী অভিবাসীদের সাময়িকভাবে আশ্রয় দিতে রাজি না্ হওয়ায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে থাইল্যান্ড।
তবে অবৈধ অভিবাসীদের অন্য কোনো দেশে না পাঠানো পর্যন্ত শুধু মানবিক সাহায্য প্রদানের সিদ্ধান্তে এখনো অটল রয়েছেন থাই প্রধানমন্ত্রী।