বোলারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর ব্যাট হাতে ধারাবাহিকতা দেখিয়েছেন টপঅর্ডার ও মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যানরা। ফিল্ডিংয়েও দুর্দান্ত ছিল ইংল্যান্ড। সবমিলিয়ে সব বিভাগে অবদানের ছোঁয়া। সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নজরকাড়া জয়ের কৃতিত্বটা তাই সবাইকেই ভাগ করে দিচ্ছেন অধিনায়ক ইয়ন মরগান।
বৃহস্পতিবার এজবাস্টনে অস্ট্রেলিয়াকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালের মঞ্চে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গী হয়েছে ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার করা ২২৩ রানের জবাব ১০৭ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখেই দিয়ে ফেলে স্বাগতিকরা।
২০১৫ সালের বিশ্বকাপে গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় নেয়া ইংল্যান্ড এবার দলীয় নৈপুণ্যে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে। মরগান তাই স্মরণ করছেন সতীর্থদের সবাইকেই, ‘২০১৫ সালে আমরা যেখানে ছিলাম সেদিকে তাকালে এটি নাটকীয় উন্নতিই। ড্রেসিংরুমের সবাই এর কৃতিত্ব নিতে পারে। আমরা অধিকাংশ সুযোগই কাজে লাগাতে চেয়েছিলাম এবং তাতে সফল হয়েছি।’
সবশেষ ১৯৯২ বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছিল ইংল্যান্ড। সেবার পাকিস্তানের কাছে হেরে শিরোপার স্বপ্ন চূর্ণ হয় ইংলিশদের। এবার নিয়ে মোট চারবার ফাইনালে এলো ইংলিশরা। আরের তিনবার শিরোপা অধরাই থেকে গেছে। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের শিরোপা জিততে এবার মরিয়াই মরগানরা।
সবশেষ যেবার বিশ্বকাপের ফাইনালে গেল ইংল্যান্ড, সেই স্মৃতি মনে আছে মরগানের? এমন প্রশ্নের জবাবে ইংলিশ অধিনায়ক হাসিমাখা মুখে বললেন, ‘আমার বয়স ছিল তখন মাত্র ছয় বছর। আমার বেশিকিছু মনে নেই। হাইলাইটস দেখেছি। আমরা এটি অনেকবার দেখেছি।’
রোববার লন্ডনের ঐতিহাসিক লর্ডস স্টেডিয়ামে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড। সেই ম্যাচকে ইতিহাস গড়ার পাখির চোখ করছেন মরগান। বলছেন, ‘এটি দারুণ এক সুযোগ, বিশাল বড় সুযোগ।’