চার বছর আগে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে এসেছিল ইংল্যান্ড ক্রিকেটে! বাংলাদেশের কাছে হেরে গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছিল। সেই দলটি এখন অনেক বদলেছে। দাপট দেখিয়ে ফাইনালেও জায়গা করে নিয়েছে। ২০১৫ বিশ্বকাপের বিপর্যয়ের পরের আসরে এভাবে ফাইনালে যেতে পারাটা অবিশ্বাস্য ঠেকছে অধিনায়ক ইয়ন মরগানের কাছেই।
১৯৯২ সালের পর নকআউট পর্বে কোনো জয় না পাওয়া ইংল্যান্ড বৃহস্পতিবার এজবাস্টনে অস্ট্রেলিয়াকে দাঁড়াতেই দেয়নি। পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের ১০৭ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখেই হারিয়ে শিরোপার মঞ্চে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গী হয়েছে ইংলিশরা।
অস্ট্রেলিয়াকে বিধ্বস্ত করে ফাইনালে যাওয়ার পর মরগান বলেছেন, ‘এটিই প্রমাণ করে গত চার বছরে আমরা কতদূর এগিয়েছি। যদি আপনি ২০১৫ বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়ার পর এটি অফার করতেন, তবে আমি বিশ্বাস করতাম না।’
আগামী রোববার লন্ডনের ঐতিহাসিক লর্ডস স্টেডিয়ামে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড। যে দলই জিতুক নতুন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন পাচ্ছে ক্রিকেটবিশ্ব। ইংলিশ-কিউই, কারোরই যে নেই বিশ্বমঞ্চে শিরোপার ইতিহাস।
পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হারার পর সেমিফাইনালে ওঠাই কষ্টসাধ্য ছিল ইংল্যান্ডের। শেষ দুই ম্যাচে ভারত ও নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে শেষ চারে আসে স্বাগতিকরা। সেমিতে তো অস্ট্রেলিয়াকে দাঁড়াতেই দিল না থ্রি-লায়ন্সরা। টানা তিন জয়ের পাশাপাশি ফাইনালের প্রতিপক্ষের বিপক্ষে জয়ের টাটকা স্মৃতি নিয়ে নিশ্চিতভাবেই লর্ডসে চাঙা হয়েই নামবেন রুট-রয়রা।