বাংলাদেশ ও মরক্কোর মধ্যে দ্বৈত কর পরিহার চুক্তি এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত একটি প্রোটোকল সাক্ষর করা হয়েছে। বুধবার মরক্কোর রাজধানী রাবাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দ্বিপাক্ষিক এক বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এবং মরক্কোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাসের বৌরিতা চুক্তিতে সাক্ষর করেন।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়: ‘‘দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ওই বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সকল বিষয়ে আলোচনায় অর্থনৈতিক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, কৃষি এবং পর্যটন খাতের উন্নয়নে দু’দেশের মধ্যকার সহযোগিতা জোরদারে ঐকমত্য হয়।
সেসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশকে সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য মরক্কো সরকারকে ধন্যবাদ জানান। এতে উভয় পক্ষ নিয়মিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেন্দ্রিক বৈঠকের আয়োজন এবং উচ্চপর্যায়ের সফর বিনিময়ের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে।
মরক্কোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিভিন্ন ধরনের জমির উপযোগী সাশ্রয়ী ফসফেট সার উৎপাদনসহ বাংলাদেশে ফসফেট সার কারখানায় কারিগরি সহায়তা ও সহযোগিতার সম্ভাবনার বিষয়ে আলোচনা করেন।’’
এ সফরে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল ১৯২০ সাল থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে ফসফেট সম্পর্কিত শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ওসিপি’র একটি গ্রুপ অফিস পরিদর্শন করেন। মরক্কো বিশ্বের ৭৫ শতাংশ ফসফেটের মজুদকারী এবং এর উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়: ‘‘বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মরক্কোর প্রধানমন্ত্রী ড. সাদ উদ্দিনী আল ওসমানীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা মরক্কোর বাদশাহ’র কাছে পৌঁছান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ ও প্রগতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদশের আর্থ-সামাজিক সূচকে অনন্য অর্জনের প্রশংসা করেন মরক্কোর প্রধানমন্ত্রী। মরক্কোয় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সুলতানা লায়লা হোসেন ও জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।’’