বিবাহপূর্ব অবৈধ গর্ভপাতের অভিযোগে দণ্ডিত সাংবাদিক হাজর রেইসনিকে ক্ষমা করে তাকে মুক্তি দিয়েছে মরক্কো।
মরক্কোর আইন মন্ত্রণালয়ের বরাতে বিবিসি জানায়, পারস্পরিক অবস্থা বিবেচনা করে মরক্কোর রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ ২৮ বছর বয়সী ওই সাংবাদিককে ক্ষমা করেছেন।
বুধবার কারামুক্তির পর সাংবাদিক হাজর রেইনসনি বিজয় চিহ্ন দেখান। এসময় তার বাগদত্তাও সঙ্গে ছিলেন। রেইনসনি মরক্কোর দ্য আখবার আল ইয়ুাউম নামক দৈনিক পত্রিকায় কাজ করেন। এটি মূলত ক্ষমতাসীনদের সমালোচনামূলক একটি পত্রিকা।
গত আগস্টে মরক্কোর এক আদালত ২৮ বছর বয়সি সাংবাদিককে অবৈধ গর্ভপাতের দায়ে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়। ৩১ আগস্ট মরক্কোর রাজধানী রাবাতে এক স্ত্রীরোগবিশেষজ্ঞের ক্লিনিক থেকে বের হওয়ার সময় রেইসনিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তার আইনজীবী আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডাব্লিউজ)-কে জানিয়েছেন যে, তাকে গ্রেপ্তারের পর একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং জোর করে তার শারীরিক পরীক্ষা করা হয়৷
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো রেইসনির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটির শুরু থেকেই সমালোচনা করে আসছিল৷ মরক্কোয় নারীদের দুরবস্থার এক উদাহরণ হিসেবেও মামলাটি তুলে ধরছে অনেক সংগঠন।সেই ঘটনার কিছুদিন পরই রেইসনির বিরুদ্ধে গর্ভপাত এবং বিবাহ বহির্ভূত যৌনসম্পর্কে জড়ানোর অভিযোগ আনা হয়। রেইসনি এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, একটি রক্তের চাকের কারণে চিকিৎসা নিতে চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন তিনি। তবে, প্রসিকিউশন জানিয়েছে, রেইসনির স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ‘স্বেচ্ছায় গর্ভপাতের’ প্রমাণ মিলেছে।
মরক্কোর দণ্ডবিধির ৪৯০ ধারা অনুযায়ী, বিবাহ বহির্ভূত যৌন সম্পর্ক অবৈধ। আর একজন নারীর জীবনের ঝুঁকি তৈরি হওয়ার ছাড়া অন্য কোনো কারণে গর্ভপাতও অবৈধ।
রেইসনি যে স্ত্রীরোগবিশেষজ্ঞের কাছে গিয়েছিলেন তাকে অবৈধ গর্ভপাত করানোর দায়ে দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। আলোচিত এই সাংবাদিকের বাগদত্তা আমিন রিফাতকেও এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিলো।