নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কারণে বোরখা নিষিদ্ধ করেছে আফ্রিকার মুসলিস সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ মরক্কো। বােরখা পরার পাশাপাশি তা তৈরি এবং বিক্রিও নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে স্থানীয় মিডিয়ার বরাতে জানিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার এখনো অফিসিয়ালি কোনো ঘােষণা দেয়নি। তবে উৎপাদনকারী ও বিক্রয়কারীদের কাছে বোরখা তৈরি ও বিক্রি বন্ধে লিখিত নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
মরক্কাের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরাতে দেশটির এলই-৩৬০ নামের একটি নিউজ সাইট জানায়, নিষেধাজ্ঞা শুধুমাত্র পুরো মুখ ঢেকে বোরখা প্রয়োগ করা বোঝায়। দেশটিতে মুসলিম নারীদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ঘোমটা ছাড়া স্কার্ফ বা নেকাব পরেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা বলেন, “আমরা সব শহর ও রাজ্য শহরগুলিতে সম্পূর্ণরূপে বোরখা আমদানি, উৎপাদন এবং এই পোশাকের বিপনন নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।
ওই নিউসাইট আরও জানায়, নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কারণেই হয়তো এই পদক্ষে নেয়া হচ্ছে। যেহেতু অপরাধীরা বারবার তাদের অপরাধ চিরস্থায়ী করতে এই পোশাক ব্যবহার করেছে।
বোরখা নিষিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় বৈচিত্রময় প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে। কিছু মরক্কোকান নিষেধাজ্ঞাকে ‘হতাশাজনক’ বলে উল্লেখ করেছেন। আবার অনেকেই একে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, বোরখা মরক্কোর সংস্কৃতির সাথে বেমানান।