বাংলাদেশের যুবাদের বিশ্বকাপ জয় মুজিববর্ষে জাতির জন্য উপহার হিসেবে বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই খুশিতে সবাইকে একদিন বা একঘণ্টা বেশি কাজ করতে হবে।
বাসস জানায়, সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে কয়েকজন মন্ত্রী বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপ বিজয়ের উৎসব পালনের জন্য একদিন সরকারি ছুটি ঘোষণার প্রস্তাব দেন।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে বলেন, ‘এই অর্জনের জন্য সবাইকে আরও বেশি কাজ করতে হবে। আমার প্রস্তাব হচ্ছে এই খুশিতে সবাইকে একদিন বা একঘণ্টা বেশি কাজ করতে হবে।’
মন্ত্রিসভার বৈঠকের শুরুতে তিনি ঘোষণা করেন, বিজয়ী দল দেশে ফিরে আসার পরে এই দুর্দান্ত সাফল্যের জন্য তাদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে।
সেময় শেখ হাসিনা স্মরণ করেন, ১৯৯৭ সালে আইসিসি টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলকে বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘যখনই বাংলাদেশ দল কোনো ট্রফি জিতেছে, আমরা তাদের সংবর্ধনা দিয়েছি। আমরা আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী বাংলাদেশ দলকেও জমকালো সংবর্ধনা দেব।’
‘‘বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়রা আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে গত চার বছর কঠোর পরিশ্রম করেছে। পুরো টুর্নামেন্টে দারুণ পারফরম্যান্সের মাধ্যমে তারা পরিশ্রমের সুফল পেয়েছে। চার বারের চ্যাম্পিয়ন ভারতীয় দলকে হারিয়েছে। তাদের (বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের) অনেক সাহস আছে এবং তারা ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছে।’’
এই ইস্যুতে একজন মন্ত্রী বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ের ঘটনাকে বাংলাদেশের খেলাধুলার ইতিহাসের ‘সবচেয়ে বড় অর্জন’ হিসেবে অভিহিত করেন।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা বাংলাদেশের খেলাধুলার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সাফল্য। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।’
পচেফস্ট্রুমে রোববার ভারতকে ৩ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের শিরোপার স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ যুব দল।
ফাইনালে ১৭৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১০২ রানে ৬ উইকেট হারানো দলটাকে ক্যাপ্টেন্স নকে দেশের প্রথম বিশ্বকাপের স্বাদ দেন আকবর।