টাঙ্গাইল-৪ আসনের উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন কাদের সিদ্দিকী। রোববার বিকেলে নির্বাচন কমিশনের দেয়া আপিলের রায়ে ন্যায়বিচার না পাওয়ার অভিযোগ করে হাইকোর্টে আপিল করেছেন তিনি। আপিলের শুনানি আগামীকাল (বুধবার) অনুষ্ঠিত হবে।
গত ১১ অক্টোবর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের পক্ষে দলীয় সভাপতি আব্দুল কাদের সিদ্দিকী ও তার স্ত্রী নাসরিন কাদের সিদ্দিকী, দলটির যুগ্ম- সম্পাদক ইকবাল হোসেন সিদ্দিকী ও হাসমত আলীর নামে নির্বাচন কমিশনে ৪টি মনোনয়নপত্র জমা দেয়া হয়।
১৩ অক্টোবর মনোনয়পত্র যাচাই-বাছাই শেষে অগ্রণী ব্যাংকে ১০ কোটি টাকার বেশি ঋণ থাকার অভিযোগে কাদের সিদ্দিকী ও তার স্ত্রী নাসরিন কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয় ।
এর আগে ১২ অক্টোবর টাঙ্গাইল নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে ফ্যাক্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো থেকে কাদের সিদ্দিকীর প্রতিষ্ঠান সোনার বাংলা প্রকৌশলী সংস্থার নামে অগ্রণী ব্যাংকের ১০ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ঋণ রয়েছে এমন একটি চিঠি পাঠানো হয়।
সহকারী রিটানিং অফিসার তাজুল ইসলাম জানান, অগ্রণী ব্যাংকের রিপোর্ট অনুযায়ী কাদের সিদ্দিকী একজন ঋণখেলাপি। তার প্রতিষ্ঠান মেসার্স সোনার বাংলা প্রকৌশলী অগ্রনী ব্যাংক থেকে ১০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলো। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান কাদের সিদ্দিকী। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের ঋণ ব্যক্তির ওপরই বর্তায়। আইন পুঙ্খনাপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করেই কাদের সিদ্দিকী ও নাসরিন সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
১৪ অক্টোবর মনোনয়নপত্র বাতিলের চ্যালেঞ্জ করে আইনী লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন কাদের সিদ্দিকী। পরে ১৬ অক্টোবর দুপুরে মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে দলটির যুগ্ম-সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী ঢাকা নির্বাচন কমিশনে উপস্থিত হয়ে কাদের সিদ্দিকী ও তার স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকীর পক্ষে আপিলের আবেনদনপত্র জমা দেন ।
১৮ অক্টোবর রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে ঘণ্টাব্যাপী কাদের সিদ্দিকী ও নাসরিন সিদ্দিকীর আপিল শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে করা আপিলের শুনানি শেষে কাদের সিদ্দিকী ও তার স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকীর আপিল খারিজ করে দেয় কমিশন।