চট্টগ্রামে প্রথম ইনিংসে ২০০ রানের লিড নিয়েও জিততে পারেনি শ্রীলঙ্কা। ড্রয়ের কারণ হিসেবে তারা দুষেছিল নিষ্প্রাণ উইকেটকে। অথচ দ্বিতীয় ইনিংসে মুমিনুল-লিটনের ব্যাটিং দৃঢ়তা ছিল বাংলাদেশকে ড্র এনে দেয়ার অন্যতম নিয়ামক। তবে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের ২২ গজে ‘প্রাণ’ দেখে খুশি শ্রীলঙ্কা।
মিরপুরে স্পিন সহায়ক উইকেট বানিয়ে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সাফল্য পেয়েছিল বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কা-বধেও একই কৌশল! প্রথমদিনেই উইকেট থেকে টার্ন-বাউন্স আদায় করেছেন টাইগার বোলাররা। লঙ্কানরাও কম যাচ্ছেন না।
আগের টেস্টে ব্যাটসম্যানদের দাপট দেখে উইকেট নিয়ে যেখানে বিরক্তি ঝরেছিল লঙ্কান খেলোয়াড়দের, মিরপুরে টার্নিং উইকেট পেয়ে তারাই কেবল ২২২ রানের পুঁজি গড়লেও ৫৬ রানেই বাংলাদেশের ৪ উইকেট তুলে নিয়েছে। খুশির কারণও সেটাই। সফরকারীদের ব্যাটিং কোচ থিলান সামারাবীরা প্রথম দিনের খেলা শেষে বললেন সেকথা।
‘ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশ এমন পিচেই খেলেছে। বল খেলা যায় না এমন না। তবে চট্টগ্রামের চেয়ে পুরোই ভিন্ন। টেস্ট ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা যখন কমে যাচ্ছে, তখন উইকেট এমনই হওয়া উচিত। যেখানে ফলাফল আসবে। এমন উইকেট দেখে আমি খুশি।’
প্রথম দিনের খেলা এমন জায়গায় থেমেছে তাতে কারা এগিয়ে কারা পিছিয়ে এখনই মন্তব্য করা কঠিন। আপাত দৃষ্টিতে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে মনে হলেও দ্বিতীয় দিনের সকালে একটি জুটিই পাল্টে দিতে পারে দৃশ্যপট। যদিও শের-ই-বাংলার উইকেটে বোলাররা যেমন টার্ন-বাউন্স পাচ্ছেন তাতে টিকে থাকতে সংগ্রামই করতে হবে স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের।
সামারাবীরা মনে করেন ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থায় আছে দু’দল। বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা আব্দুর রাজ্জাকও বললেন তেমনই, ‘ভারসাম্য আছে, তবে একটা সেশনে একেক টাইপের খেলা হয়। দেখা যায় একটা সেশনে একটা দল এগিয়ে আছে, পরের সেশনে আবার অন্য দল। টেস্টে ক্ষতি পূরণ করে দেয়ার জায়গা থাকে। আমার মনে হয় আমাদের একটা-দুইটা উইকেট বেশি পড়ে গেছে। এটা পুষিয়ে নেয়া সম্ভব বলেই মনে হয়।’