চাল ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে তিন মন্ত্রণালয়ের বৈঠকের পর এখনও লাগামহীন চালের বাজার। কেননা তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর চালের দাম কিছুটা কমার কথা থাকলেও পাইকারি ও খুচরাভাবে মোটা ও চিকন চালের দাম আগের অবস্থানে রয়েছে। এছাড়া বাজারে কোন মনিটরিং না থাকায় আগামী রোববারের আগে চালের দাম কমার কোন আশা দেখছেন না চালের আড়তৎদারা।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে কুমিল্লা রাইস এজেন্সির সারোয়ার চ্যালেন অাই অনলাইনকে জানান, চালের বাজার এখনও আগের মতোই রয়েছে। দাম কমার বিষয়ে আমরা কোন ঘোষণা কিংবা এ জাতীয় কোন নির্দেশনা পাইনি। তাই আগামী রোববারের আগে দাম কমার কোন সম্ভাবনা নেই।
বাজারে সরকারের কোন মনিটরিং অাছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোন মনিটরিং নেই, কেউ এসে খোঁজখবরও নিচ্ছে না। শুধু মিডিয়ার লোকেরা এসে খবর নিয়ে যায়।
এর আগে মঙ্গলবার চাল ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে তিন মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের সকল দাবি মেনে নেয় সরকার। এর ফলে চালের মূল্য কেজি প্রতি দুই টাকা কমবে বলে আশা করেছেন ব্যবসায়ীরা। বৈঠকের একদিন পার হলেও চালের দাম নিয়ে কোন আশার অালো নেই।
তবে বাজারমূল্য স্থিতিশীল রাখতে বুধবার থেকে উপজেলা পর্যায়ে ওএমএস চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
কোরবানি ঈদের পর কোন কারণ ছাড়াই হঠাৎ করেই অস্থির হয়ে উঠে দেশের চালের বাজার। বাজারে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে প্রায় ১০ দরে বেড়ে যায়। অবশ্য চাল ব্যবসায়ী নেতারা বলেছেন, সংকট কাটাতে চাল আমদানির শুল্ক দেরিতে কমানো, চাল ও ধান সংগ্রহে সরকারের দাম অনেক কম হওয়াসহ নানা কারণে এবার চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
সচিবালয়ে চাল ব্যবসায়ীদের নিয়ে তিন মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে কেউ কেউ চালের বাজার বৃদ্ধিতে মিডিয়ার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।