প্রতিবারের মতো এবারও রমজানকে ঘিরে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। বাজার বিশেষজ্ঞদের অভিযোগ, বাজার মনিটরিং না থাকায় ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো দাম বাড়াতে পারছেন। সঙ্গে বেড়েছে বাজেটে শুল্ক বাড়ানো পণ্যের দাম।
ক্রেতারা বলছেন, রমজান আসলে দাম বাড়া যেনো অঘোষিত নিয়মে দাঁড়িয়েছে। তবে এবার ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে কৌশলী। রোজা শুরুর এক মাস আগেই বাড়িয়ে দিয়েছেন বেশির ভাগ পণ্যের দাম।
৩৪ টাকা থেকে বেড়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ এখন ৪৮ টাকা। ছোলা খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ৬৫, দেশি মুসুরির ডাল ১২০, চিনি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ৪৫০ থেকে বেড়ে খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকায়, ৩৬৫ থেকে বেড়ে প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম ৩৮০।
সঙ্গে ৬৫ থেকে বেড়ে খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে তত্ত্বাবধায়ক আমলে রোজার সময় তেলের দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়েছিলো। সে হিসাবে দাম অনেক কম।
ভোক্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রোজা শুরু হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে কিছু পণ্যের দাম। এক সপ্তাহ আগের তুলনায় ইফতারের অন্যতম উপাদান বেগুনের দাম দ্বিগুণ হয়ে ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৩৫ টাকা থেকে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের খুচরা দাম এখন ৬০ টাকা।
তবে টিসিবি’র মুখপাত্র হুমায়ুন কবীর বলেছেন, প্রতিবারের মতো রমজান উপলক্ষে সব প্রস্তুতি নিয়ে সারাদেশে একযোগে ট্রাক সেল, নিয়মিত ডিলার এবং খুচরা বিক্রয় কেন্দ্রে পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে। যেটা চলবে রমজানের শেষদিন পর্যন্ত। টিসিবি ডিলারদের কাছে যথেষ্ট পরিমাণে পণ্য মজুদ থাকার কথা জানিয়েছেন তিনি।
পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরও বাজার মনিটরিং না থাকাকেই দাম বাড়ার কারণ হিসেবে দেখছে কনজুমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।
ক্যাব’র সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হুমায়ুন কবীর ভূঁইয়া জানান, দব্যমূল্য বৃদ্ধি করার জন্য যে ধরণের অপকৌশল অবলম্বন করা দরকার সবগুলো অপকৌশলই করছে বিক্রেতারা।
তাই বর্তমানে বাজারে বেশিরভাগ পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় বাজারে যদি মনিটরিং করা না হয় সামনে পণ্যের দাম আরো বাড়বে।
শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করায় বাজেট পাশ হওয়ার আগেই সিগারেট, চিনিসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম বেড়ে গেছে বলে মনে করেন তিনি।
তবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বলেছে, বাজেট প্রস্তাব অনুযায়ী এস আর ও’র মাধ্যমে কিছু পণ্যে নতুন শুল্ক কার্যকর হয়েছে।