অস্তিত্ব হুমকির মুখে থাকা মধুপুরের শালবনের দখল চলছেই। প্রভাবশালীদের বন দখলের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে জেগে ওঠার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশপ্রেমীরা। টাঙ্গাইলের মধুপুরে শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীর মধ্যে এ বিষয়ে সচেতনতা কর্মসূচি চলছে।
টাঙ্গাইল শহর থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে মধুপুর জাতীয় উদ্যানের গাছ কেটে বন বেদখলের পাশাপাশি উদ্যানের ভেতর বাইরে বাড়ছে আনারস আর কলার বাগান। বন রক্ষায় কিছুটা সচেতনতা বাড়লেও নানা কৌশলে চলছে বন দখল।
স্থানীয়রা বলেন, প্রাকৃতিক বন ধংস করে বাগান করা হচ্ছে এখানে।
পরিবেশবাদীরা মনে করেন, বন ধ্বংসের বিরুদ্ধে সবার আগে সাধারণ মানুষকে সোচ্চার হতে হবে। এ জন্যই জীববৈচিত্র্য আর বনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে মধুপুরে প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের সচেতনতা কর্মসূচি।
এলাকাবাসীদের মতে জীব জন্তুদের টিকিয়ে রাখা দরকার। এখন যদি পরিবেশ রক্ষা করা না হয় তাহলে তারা যা দেখতে পারছেন, তাদের আগামী প্রজন্ম তা দেখতে পারবেনা।
শালবনের পাশের প্রত্যন্ত গ্রামের স্কুলেও ভিডিও, বই আর মতবিনিময়ে প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু বলেন, ব্যাঙ পোকাগুলোকে খায়। সাপ আবার ইদুঁর খাচ্ছে। পেঁচা ইদুঁর খেয়ে পরিবেশ, ফসল রক্ষা করছে।
সচেতনতা বাড়ছে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের মাঝেও। মানুষের প্রয়োজনেই পরিবেশ-প্রকৃতি রক্ষায় সচেতনতার আলো ছড়িয়ে দেয়ার তাগিদ আসে এ কর্মসূচিতে।
টাঙ্গাইলের মধুপুরের কর্পাস খ্রীষ্টি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সিস্টার রেনু সমদ্দার বলেন, প্রকৃতি ধংস হচ্ছে আর এই প্রকৃতিকে ধংস করছি আমরা সবাই।