নিয়মিত ক্রেতাদের নাম-পরিচয়ের তালিকা রাখতে মদের দোকানগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে ভারতের মধ্যপ্রদেশ সরকার। রাজ্যে মদ্যপান কমাতেই এই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
মধ্যপ্রদেশের অর্থমন্ত্রী জয়ন্ত মালাইয়া জানিয়েছেন, মদের দোকানগুলো তাদের নিয়মিত ক্রেতাদের একটি তালিকা করে রাখবে। তবে তালিকাটি সবার দেখার জন্য উন্মুক্ত নয়। “নিয়মিত যারা দোকানে হাজির হন তাদেরকে চিনে রাখাটা সহজ। ওই ক্রেতাদের আসক্তি নিরাময়ের জন্য চিকিৎসার প্রয়োজন আছে কিনা, তা এই তালিকার তথ্যগুলো কাজে লাগিয়ে জানার চেষ্টা করা হবে,” বলেন মন্ত্রী।
সোমবারের প্রাদেশিক ক্যাবিনেটে মধ্যপ্রদেশের ২০১৭-১৮ সালের আবগারী নীতিতে এ উদ্দেশ্যে আরও কিছু কঠোর সিদ্ধান্ত অনুমোদন পেয়েছে।
সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে রয়েছে: মদসহ সব নেশাদ্রব্যের বোতলে ‘স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর’ জাতীয় সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ লেখা, নেশাদ্রব্য ব্যবহারের বিরুদ্ধে বক্তব্যযুক্ত অধ্যায় স্কুলের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা, কোনো টিভি চ্যানেলেই মদ বা অন্য কোনো নেশাদ্রব্যের বিজ্ঞাপন না দেয়া ইত্যাদি।
এর আগেই অবশ্য বিজেপি সরকার বলেছিল, মধ্যপ্রদেশে নতুন কোনো মদের দোকান খুলতে দেয়া হবে না।
এসব ছাড়াও সরকার মদ্যপান বিষয়ক সচেতনতা তৈরিতে প্রচারণা কর্মসূচি, যোগ ও মেডিটেশন থেরাপি সেন্টারের পরিকল্পনা করছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাতে জানিয়েছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। আবার কোনো ব্যক্তি তিনবারের বেশি মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালাতে গিয়ে ধরা পড়লে তার ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল করারও ঘোষণা দিয়েছে সরকার।
সংশ্লিষ্ট এক উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান, মধ্যপ্রদেশ সরকার গুজরাট এবং বিহারে মদ্যপানের ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের সঙ্গে অপরাধের হারের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে পুলিশ কর্মকর্তাদের দু’টি দল পাঠিয়েছে। তাদের দেয়া প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পুরো প্রদেশেই পূর্ণাঙ্গ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হতে পারে।
তবে অর্থমন্ত্রী মালাইয়া অবশ্য পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন। বলেছেন, আগামী বছরের নীতিমালা ইতোমধ্যে ঘোষণা করা শেষ। তার মধ্যে এমন কিছু নেই।