প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মঙ্গাপীড়িত রংপুর অঞ্চলে যেন আবার মঙ্গা ফিরে না আসে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সীমিত বা নিম্নবিত্ত মানুষের দিকে নজর দিতে হবে। তাদের সহযোগিতার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে। সেজন্য যা দরকার সেভাবে ব্যবস্থা নেবো আমরা।
রংপুর বিভাগের জেলাসমূহের জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের সময় এসব বলেন প্রধানমন্ত্রী।
এসময় প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় ২০০০ ডাক্তার ও ৫০০০ হাজার নার্স নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে যাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে তাদের ট্রেনিং দিচ্ছি। যেন এটা ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঢাকা মেডিকেলের দ্বিতীয় অংশটা করোনাভাইরাসের চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলায় জেলায় যেন করোনা চিকিৎসা হতে পারে সেজন্য পদক্ষেপ নিয়েছি।
‘তবে সবাইকে বিনা কারণে ঘরের বাইরে যাওয়া বন্ধ করতে হবে। সেখান থেকে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঘটতে পারে ও মৃত্যুও ঘটতে পারে। তরুণদের দোকানে বসে আড্ডা দেওয়া বন্ধ করতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’
করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ব থমকে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কেবল দেশটা এগিয়ে যেতে শুরু করেছিলো। সেখানে একটা স্থবিরতা আসলো সারাবিশ্বজুড়েই। এই অবস্থা মোকাবেলা করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। করোনার প্রভাবে দেশের মানুষের যেন ক্ষতি না হয় সেটাই কাম্য।
প্রধানমন্ত্রী যোগ করেন, জেলাভিত্তিক ক্ষুদ্র শিল্পগুলো চালু করার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ঋণের সুদ দুই মাসের জন্য স্থগিত। মানুষ যেন ব্যবসা বাণিজ্য সচল রাখতে পারে সেজন্য সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। রেলও সীমিত আকারে চালু করা হয়েছে, পণ্য পরিবহনের জন্য। বেশি লোক সমাগম না হয় সেভাবে অনেক কিছু চালু করা হচ্ছে। ডিম দুধ কতটা উৎপাদন হচ্ছে সেটাও আমরা দেখছি। কেউ কেউ অভিমান করে দুধ ফেলে দিচ্ছেন। সেটা না করে অল্প দামে বিক্রি করে দিলেও তো কেউ খেতে পারলো, আবার আপনারও কিছুটা হলেও লাভ হলো।
করোনা মোকাবেলার প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশকে দারিদ্রমুক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছিলাম। সবাই মিলে কাজ করলে অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে পারবো। আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করি, মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগও আমরা মোকাবেলা করেছি, এটাও আমরা মোকাবেলা করবো।