এবারের বর্ষবরণের মঙ্গল শোভাযাত্রায় নির্দিষ্ট কিছু মানুষ ছাড়া কেউ অংশ নিতে পারবে না। অবাঞ্ছিত কেউ যেন মঙ্গল শোভাযাত্রায় ঢুকে আনন্দ-উৎসবে বিঘ্ন ঘটাতে না পারে সেদিকে বিশেষ নজর রাখবে পুলিশ। গতবছর পহেলা বৈশাখে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনার মতো কোনো কিছু যেন এবার না ঘটে, সেজন্যই এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
পাশাপাশি শোভাযাত্রায় বাঁশিও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার আরো জানান, এবছর সুর্নিদিষ্ট কোনো হুমকি না থাকলেও পহেলা বৈশাখে জনগণের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পুলিশ।
বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের প্রচারণার জন্য চুক্তি ভিত্তিতে লোক নিয়োগ করে শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে দুর্বৃত্তরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে, সে বিষয়টি লক্ষ্য রাখা হবে। শোভাযাত্রার ভেতরে, সামনে এবং পেছনে আমাদের বিশেষায়িত দল সোয়াট টিম নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে বলে জানান তিনি।
পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে থাকবে নয়টি ওয়াচ টাওয়ার । সেখান থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রমনা এলাকায় বর্ষবরণ উৎযাপন পর্যবেক্ষণ করা হবে।
বিকেল ৫টার পর উন্মুক্ত কোনো স্থানে কনসার্ট আয়োজন করা যাবে না বলেও জানান তিনি। কোনো সুরক্ষিত স্থানে বা ইনডোরে হতে পারে এসব আয়োজন।
তিনি বলেন, একটি কুচক্রী মহল বাংলার সংস্কৃতি বিতর্কিত করার অপচেষ্টা
অনেকদিন ধরেই করে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে আমরা সতর্ক। এটা যেন জনমনে কোনো
বিভ্রান্তি তৈরি করতে না পারে, নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে না পারে সেজন্য আমরা
সতর্ক। বাঙালি তার সাহিত্য, কৃষ্টি-কালচার উৎসবমুখর পরিবেশে উৎযাপন করতে
পারে সেজন্য সবার সহযোগিতা চাইছি।