পবিত্রতম স্থান মক্কার মসজিদুল হারামে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সৌদি প্রশাসন। তবে মসজিদের কাছেই আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। গ্র্যান্ড মসজিদের ভেতরেই মুসলিমদের পবিত্রতম কাবা শরিফ অবস্থিত।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
খালিজ টাইমস জানিয়েছে, মক্কায় সন্ত্রাসী হামলা হতে পারে – এমন খবরের সূত্র ধরে মক্কাসহ কাছাকাছি শহরগুলোতে পুলিশি অভিযান চলছিল। স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোরে মক্কা ও জেদ্দায় চালানো অভিযানে এক নারীসহ ৫ সন্দেহভাজনকে আটক করে পুলিশ।
ওইদিন দুপুরের দিকে গ্র্যান্ড মসজিদে রমজান মাস উপলক্ষে জড়ো হওয়া হাজারও মুসল্লি নামাজ আদায় করছিলেন। এমন সময় মসজিদের পাশেই একটি ভবন ঘিরে পুলিশের অভিযানের সময় এক জঙ্গি প্রথমে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। এক পর্যায়ে পুলিশ পাল্টা গুলি ছুঁড়লে সে আত্মঘাতী বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেকে উড়িয়ে দেয়।
সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে বিবিসি জানায়, বিস্ফোরণে ১১ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে ৬ জন বিদেশি মুসল্লি। বিস্ফোরণে ভবনটির একপাশ ধসে গেছে বলেও জানানো হয়েছে।
হামলাকারীর অবস্থান ঘেরাও করার আগেই অন্য আস্তানা থেকে ওই ৫ জনের আটকের ঘটনা ঘটে।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেনারেল মনসুর আল তুর্কি সৌদি টেলিভিশনকে বলেছেন, পুলিশ গ্র্যান্ড মসজিদ, হাজি এবং অন্য মুসল্লিদের নিরাপত্তাকে লক্ষ্য করে তৈরি একটি সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনাকে নস্যাৎ করে দিয়েছে।
তবে কীভাবে বা কারা ওই হামলার পরিকল্পনা করছিল, সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু এখনও জানাননি সৌদি কর্মকর্তারা।
২০১৬ সালের জুলাইয়ে মদিনায় মসজিদে নববীর কাছে একটি আত্মঘাতী বোমা হামলায় চারজন নিরাপত্তা কর্মী নিহত হয়েছিলেন।
সম্প্রতি সৌদি আরবে বেশ কয়েকটি রক্তক্ষয়ী হামলার ঘটনা ঘটেছে, তার বেশ কয়েকটি তাদের চালানো বলে দাবি করে জঙ্গি সংগঠন কথিত ইসলামিক স্টেট (আইএস)। বেশিরভাগ হামলাই চালানো হয়েছে দেশটির শিয়া সংখ্যালঘু আর নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ্য করে।