হাতে প্রায় দুটো দিন থাকলেও ইংল্যান্ডের ছুঁড়ে দেওয়া ৩৮০ রানের লক্ষ্যটা সাউথ আফ্রিকার জন্য পাহাড়সম হবে সেটা জানাই ছিল। হয়েছেও তাই। ১৭৭ রানের বড় জয়ে ম্যাচ ও সিরিজ সেজন্য জো রুটের দলের।
দীর্ঘ ১৯ বছরের অপেক্ষা। লম্বা সময়। ১৯৯৮ সালের পর এই প্রথম ঘরের মাটিতে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জিতল ইংলিশরা। ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়। সেটা আবার এল নতুন অধিনায়ক রুটের হাত ধরে। আর পুরো সিরিজ জুড়েই ব্যাটে-বলে অসাধারণ সময় কাটালেন মঈন আলি।
মঈনের রেকর্ডময় সিরিজটা অনন্যই বলা চলে। ৪ ম্যাচের কোনও সিরিজে তার আগে কেউ আড়াইশর বেশি রানের পাশাপাশি ২৫ উইকেট ঝুলিতে ভরতে পারেননি। সঙ্গে একটা হ্যাটট্রিকও পেয়েছেন তৃতীয় টেস্টে।
সোমবার ম্যানচেস্টার টেস্টের চতুর্থ দিনে ৮ উইকেটে ২২৪ রান নিয়ে ক্রিজে আসেন দুই অপরাজিত মঈন ও স্টুয়ার্ট ব্রড। ইংল্যান্ড অবশ্য আর মাত্র ১৯ রানই যোগ করতে পেরেছে।
ইংল্যান্ড গুটিয়ে যায় ২৪৩ রানে। মঈন অপরাজিত থাকেন ৭৫ রানে। ৬৬ বলে ৯ চার আর ৩ ছয়ের ইনিংস সাজিয়ে।
স্বাগতিকরা প্রথম ইনিংসে তুলেছিল ৩৬২ রান। জবাবে সফরকারীরা গুটিয়ে যায় ২২৬ রানে। সেখান থেকেই ১৩৬ রানের লিড পেয়েছিল রুটরা। আফ্রিকানদের সামনে তাই মোটের ওপর লক্ষ্যটা দাঁড়ায় ৩৮০ রানের। সামান্য কিছু প্রতিরোধ গড়ে তারা গুটিয়ে গেছে ২০২ রানে।
সাউথ আফ্রিকার টপ অর্ডার এদিনও দাঁড়াতে পারেনি। হেইনো কুন ১১, ডিন এলগার ৫ ও টেম্বা বাভুমা ১২ রানে ফেরেন।
সেখান থেকে ফ্যাফ ডু প্লেসিসের সঙ্গে ১২৩ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়েন হাশিম আমলা। আমলা সাজঘরে হাঁটা দেন ৮৩ রানে। অধিনায়ক ডু প্লেসিস ফেরেন ৬১ এর ঘরে। বাকিদের মধ্যে কেউ আর বলার মত অবদান রাখতে পারেননি।
অবদান যা তা ওই রেকর্ড গড়া মঈনের দখলেই গেল। এই অফস্পিনার পুরো সিরিজের মত শেষটাও রাঙালেন। সাউথ আফ্রিকা শেষ ৭ উইকেট যে মাত্র ৩৯ রানে হারাল তাতে অবদান মঈনেরই। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট দখলে তার, ৬৯ রান খরচায়। জেমস অ্যান্ডারসন থাকলেন সহকারীর ভূমিকায়, ১৬ রানে ৩ উইকেট নিয়ে।