কয়েক টেস্ট বিরতি দিয়ে দলে জায়গায় ফিরে পেয়েছিলেন। ফিরেই ইংল্যান্ডের জয়ের নায়ক মঈন আলি। দুই ইনিংসেই তার ঘূর্ণিজাদু চলল। তাতে সাউদাম্পটন টেস্টে ৬০ রানে হেরে সিরিজটাই হাতছাড়া করেছে ভারত।
এক ম্যাচ হাতে রেখেই ৩-১এ পাঁচ টেস্টের সিরিজ জিতে নিয়েছে রুটের দল। ৭ সেপ্টেম্বর থেকে লন্ডনে শুরু হওয়া পঞ্চম ম্যাচটি কোহলিদের জন্য এখন কেবল সম্মানরক্ষার টেস্ট।
ম্যাচ জিততে ভারতের প্রয়োজন ছিল ২৪৬ রান। ইংলিশরা চতুর্থ দিনে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৭১ রানে অলআউট হওয়ায় কোহলিরা লক্ষ্য পান আড়াইশোর কাছাকাছি। জশ বাটলার ৬৯, স্যাম কারেন ৪৬ ও অধিনায়ক জো রুট ৪৮ রান করে বিপদ এড়ানোর মঞ্চ গড়ে দেন ইংল্যান্ডকে।
লক্ষ্য খুব একটা বড় না হলেও কাজটা ভারতের জন্য কঠিনই ছিল। দেশের বাইরে দুইশ টপকে তাদের টেস্ট জয়ের ঘটনা যে কেবল চারটি। পঞ্চমটি ধরা দেবে কিনা এটা ভাবতে ভাবতেই সফরকারীদের দুঃসময়ের পথে ঠেলে দেন দুই পেসার জেমস অ্যান্ডারসন ও স্টুয়ার্ট ব্রড। দুজনে ২২ রানের মধ্যেই সাজঘরে পাঠান সফরকারীদের তিন টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানকে।
সেই ধাক্কা ভারত কাটিয়ে ওঠে অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও আজিঙ্কা রাহানের ব্যাটে চড়ে। দুজনে ১০১ রানের জুটি গড়েন। যেভাবে ব্যাট করছিলেন কোহলি-রাহানে, টিকে গেলে ম্যাচের ফলটা উল্টো হত নিশ্চিত!
কিন্তু ইংলিশ অধিনায়কের কপালের ঘাম বেশি বাড়ার আগেই আঘাত হানেন মঈন। কোহলিকে ৫৮ রানে বানান অ্যালিস্টার কুকের ক্যাচ। কিছুক্ষণ পর হার্দিক পান্ডিয়া শূন্যরানে স্টোকসের বলে স্লিপে রুটের হাতে ধরা পড়লে পরাজয়ের ক্ষণ গুনতে শুরু করে ভারত।
রাহানে যতক্ষণ উইকেটে ছিলেন, কিছুটা ভরসা ছিল। ব্যক্তিগত ৫৮ রানের মাথায় তাকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে পথের কাঁটা দূর করেন মঈনই। তাতে লক্ষ্য থেকে ৬০ রান দূরে থেকে ১৮৪ রানে অলআউট কোহলিরা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটসহ সাউথাম্পটন টেস্ট মোট ৯ উইকেট নিয়েছেন মঈন। প্রথম ইনিংসে ৬৩ রানে ৫টি। উইকেটের ফাটা জায়গায় অনবরত বল ফেলেছেন। পেয়েছেন বড় বড় টার্ন। পেসারদের স্বর্গে তাই ম্যাচসেরার পুরস্কারটা মঈনের হাতে তুলে দিতে দ্বিধা করেননি নির্ধারকরা।