সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে হওয়া মানহানির ১৫ মামলার কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছে হাইকোর্ট।
রোববার বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি জাফর আহমেদের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে মইনুল হোসেনের আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খুরশীদুল আলম।
আজ আদেশের পর আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খুরশীদুল আলম বলেন: ময়মনসিংহে দুইটি ও গাজীপুরের আরো একটি মামলায় জামিন না হওয়ায় আপাতত মুক্তি মিলছে না মইনুল হোসেনের।
গত ১৬ অক্টোবর মধ্যরাতে একাত্তর টেলিভিশনের নিয়মিত আয়োজন ‘একাত্তর জার্নাল’-এ রাজনৈতিক সংবাদের বিশ্লেষণে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির করা এক প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বলেন: ‘আপনার দুঃসাহসের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। আপনি ‘চরিত্রহীন’ বলে আমি মনে করতে চাই।’
টকশোতে দেয়া ওই বক্তব্যের ঘটনায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে ২২টি মামলা হয়। যার মধ্যে ২০টি মানহানির এবং ২টি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলা।
এর মধ্যে রংপুরে করা মানহানির এক মামলায় গত ২২ অক্টোবর রাত পৌনে ১০টার দিকে রাজধানীর উত্তরায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি আ স ম আবদুর রবের বাসা থেকে মইনুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর গত ৩ নভেম্বর মইনুল হোসেনকে কারাগারে পাঠানো হয়।