ভাইয়ের হাতে খুন হওয়া পাকিস্তানি মডেল কান্দিল বালোচের বাবা বলেছেন,
‘কান্দিলই আমাদের সংসারটা চালাতো; এমনকি যে ভাই তাকে খুন করেছে তার খরচও
সে-ই দিত। এই হত্যার কারণ প্রতিহিংসা।’
পাকিস্তানি পত্রিকা ডনকে কান্দিল বালোচের বাবা-মা বলেন, কান্দিলের অর্জনে তার ভাইরা প্রচণ্ড অখুশি ছিল। তাই যে বোন তাকে সহায়তা করতো তাকেই হত্যা করে তারা। তবে এই ঘটনার পরে এখন মেয়ের লাশ নিতেও ভয় পেয়েছেন এই হতভাগ্য বাবা-মা। তাদের ভয় পাছে ছেলেরা তাদেরও কোনো ক্ষতি করে বসে।
মুলতান থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরে দেরা গাজী খান এলাকায় শেষকৃত্য হয় কান্দিল বালোচের। মানবাধিকার কর্মীসহ শতশত মানুষ আসে কান্দিলকে দাফন করতে। এক ছেলেকে কান্দিলকে হত্যার দায়ে এবং অন্য ছেলেকে কান্দিল হত্যায় সহযোগিতার দায়ে অভিযুক্ত করে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন কান্দিলের বাবা-মা।
অনেকদিন ধরেই কান্দিলকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল তার ভাই। অবশেষে ১৬ই জুন শনিবার নিজের হাতে বোনকে ওষুধ খাইয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে পালিয়ে যায় ভাই ওয়াসিম। পরে সেদিন রাতেই তাকে আটক করে পুলিশ।
পাকিস্তানে এভাবে সম্মানের নামে হত্যাকে বলা হয় ‘অনার কিলিং’। হুমকি পাওয়ার পর বাড়তি নিরাপত্তা চেয়ে কান্দিলের অনুরোধকেও তেমন গুরুত্ব দেয়নি পাকিস্তান সরকার। প্রতিবছর সেখানে এভাবে নারী হত্যার ঘটনা বেড়েই চলেছে।
বিতর্কিত সব ছবি, ভিডিও, কমেন্ট পোস্ট করে অনেক আলোচিত ছিলেন কান্দিল বালোচ। এই তো মাত্র কিছুদিন আগে এক মুসলিম ধর্মীয় নেতার সঙ্গে ছবি দিয়েও বেশ বিতর্কিত হয়েছিলেন তিনি।
পাকিস্তান জিতলে নগ্ন হয়ে নাচার ঘোষণা এবং বিরাট কোহলির জন্য স্নান করে ‘লাভ’ মেসেজ দিয়ে বেশ সমালোচিত হন মডেল কান্দিল বালোচ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খোলামেলা ছবি পোস্ট করতেন তিনি।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারেও তিনি বলেছিলেন, এই সমাজে কোনো কিছুই ভালো না। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে সবই খারাপ।