ইউরোপিয়ান ফুটবলের আকর্ষণীয় মহাযজ্ঞের এবারের সবচেয়ে চমকপ্রদ নাম
আইসল্যান্ড। সাড়ে তিন লাখেরও কম জনসংখ্যার দেশটি মাঠে যেমন ছড়িয়েছে
দুর্দান্ত শৈলী; তেমনি এর সমর্থকরাও হাততালি আর ধ্বনির ছন্দে
প্রকম্পিত করেছেন স্টেডিয়াম চত্বর।
ঠিক একই কায়দায় দেশে ফেরা নায়কদের বরণ
করে নিল রাজধানী রিকজাভিকে জড়ো হওয়া লাখো জনতা। দেশটির সব অধিবাসীই যেনো হাজির
হয়েছিল বীরদের স্বাগত জানাতে।
প্রথমবারের মতো টুর্নামেন্টটি খেলতে এসেই পর্তুগাল ও অস্ট্রিয়াকে রুখে দিয়ে গ্রুপ পর্বের বাধা পেরোনো এবং শেষ ষোলোতে ইংল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলকে হারানোতো রূপকথার মতোই। সমর্থকদের গগণবিদারী হুঙ্কার ভীতিকর পরিবেশই সৃষ্টি করেছিলো। রুনিদের ২-১ গোলে হারানোর পরতো সাবেক ইংলিশ গোলকিপার পিটার শিলটন ‘ভাইকিং চ্যান্ট’কেই দোষারোপ করে বসেন।
স্বাগতিক ফ্রান্সের সাথে সেমিফাইনালে ৫-২ গোলে হেরে শেষ হয় এ্যারোন গুনারসনের নেতৃত্বাধীন আইসল্যান্ডের স্বপ্নযাত্রা।
অষ্টম থেকে একাদশ শতক পর্যন্ত সাগর পথে ইউরোপ দাপিয়ে বেড়ানো ভাইকিংদের আবহ যেনো ফিরিয়ে এনেছিল গ্যালারি। তেমনি একইভাবে হাজারো মানুষের তীব্র ধ্বনিতেই স্বাগত জানানো হলো তাদের। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে মাঠেই দর্শকদের সাথে সেই ‘ভয়াল’ উৎযাপনের সঙ্গি দলটি দেশেও একই কায়দায় মিলিত হলেন।