ভয়াবহ তুষারধসের কবলে পড়ে ভারতের উত্তরাখণ্ডে প্রায় ১৫০ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ১০জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার সকালে চামোলি জেলার জোশিমঠের তপোবনে নন্দাদেবী হিমবাহে ধস নামে।
হিন্দুস্থান টাইমস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এঘটনায় অলকানন্দা নদীতে ঋষিগঙ্গা বাঁধ ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধৌলিগঙ্গার বাঁধে ফাটল দেখা গিয়েছে। ধৌলিগঙ্গা নদীর জলস্তর দ্রুত বাড়ছে। নদী তীরবর্তী গ্রামগুলি প্লাবিত হয়েছে এবং ঋষিগঙ্গা বিদ্যুৎ প্রকল্পের দেড়শো জনেরও বেশি শ্রমিক নিখোঁজ বলে সংবাদসংস্থা সূত্রে জানা যাচ্ছে।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যসচিব ওম প্রকাশ জানিয়েছেন, চামোলি জেলায় ১০০-১৫০ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে।
চার জেলায় হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে যান উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত।
হিমবাহ ভেঙে তুষারধস নামল উত্তরখণ্ডের চামোলি জেলায়। হতাহতের সংখ্যা কমপক্ষে ১০০-১৫০ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। হরিদ্বার পর্যন্ত সমস্ত জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। #Uttarakhand #reni #Dhauliganga, pic.twitter.com/HGZMaQHM5R
— Hindustan Times Bangla (@HT_Bangla) February 7, 2021
উত্তরাখণ্ডের পরিস্থিতি বিষয়ে নিয়মিত খোঁজ নিচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গোটা দেশ উত্তরাখণ্ডের পাশে রয়েছে বলে টুইট করেছেন মোদি।
উত্তরাখণ্ডের উদ্দেশে উদ্ধারকাজের জন্য রওনা দিয়েছে ভারতীয় সেনা বাহিনীর সদস্য ও তাদের হেলিকপ্টার। গঙ্গা তীরবর্তী জেলাগুলিতে হাই অ্যালার্ট জারি করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।
এ ঘটনায় ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন বলেন, ‘এটা মর্মান্তিক ঘটনা। এটা প্রাকৃতিক বিপর্যয়। উত্তরাখণ্ড সরকারকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী’। উত্তরাখণ্ডের ঘটনায় টুইটারে দুঃখপ্রকাশ করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।