ইয়েমেন এখন বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ কলেরা মহামারীর শিকার। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ লাখের বেশি কলেরা আক্রান্তের ঘটনা ধরা পড়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
কলেরায় আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ১৩শ’র বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। এদের চার ভাগের এক ভাগই শিশু। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কলেরার এই প্রাদুর্ভাব ঠেকানোর জন্য সম্ভব সবকিছু করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের এই দু’টি সংস্থা।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এখানে আমরা বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক কলেরা মহামারির সম্মুখীন। মাত্র দু’মাসে কলেরা যুদ্ধ কবলিত দেশের প্রায় প্রতিটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে।’
দেশজুড়ে প্রতিদিন প্রায় ৫ হাজার করে নতুন কলেরার কেস সনাক্ত হচ্ছে বলেও জানায় ইউনিসেফ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
গত দু’বছর ধরে সৌদি জোট সমর্থিত ইয়েমেন সরকারি বাহিনী এবং হাউদি বিদ্রোহীদের মধ্যকার টানা যুদ্ধে পুরো দেশের স্বাস্থ্য, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা বিপর্যস্ত। বর্তমানে রাজধানী সানাসহ দেশের বড় একটা অংশ বিদ্রোহীদের দখলে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া এখন ইয়েমেনে যথেষ্ট কষ্টসাধ্য। প্রতিটি হাসপাতালেই ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত রোগী, একই সঙ্গে তীব্র খাদ্য সঙ্কট – সব মিলিয়ে দেশজুড়ে অপুষ্টি দেখা দিয়েছে। এর ফলে ইয়েমেনের জনগণ, বিশেষ করে শিশুরা কলেরার মতো রোগব্যধির ঝুঁকিতে আরও বেশি থাকছে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, সংস্থাটি জায়গায় জায়গায় র্যাপিড রেসপন্স টিম নামিয়েছে। টিমগুলো বাড়ি বাড়ি গিয়ে লোকজনকে কলেরার ব্যাপারে সতর্ক করার চেষ্টা করছে এবং শিখিয়ে দিচ্ছে কীভাবে পান করার পানি পরিষ্কার করে জমিয়ে রাখবে।
তবে পরিষ্কার পানির সরবরাহ খুব কম ইয়েমেনে। তাই খুব বেশি উপকার হচ্ছে না এতে।