অনাগত শিশুদের ডিএনএ কি পরিবর্তন করতে দেয়া উচিত? নাকি উচিত নয়? জন্মগতভাবে ভ্রুণের ভবিষ্যত পরিবর্তনের বিষয় নিয়ে বিস্তর আলোচনা শেষে বলা হচ্ছে, এখানে এমন কোনো নির্দিষ্ট বিষয় নেই যাতে করে এই পরিবর্তনকে সমর্থন দেয়া যায় না।
তবে যুক্তরাজ্যে সেটি আইন হওয়ার পূর্বে সেই পরিবর্তনের সত্যিকারের পরিমাণ অবশ্যই নির্ধারণ করা হবে।সেজন্য আরো বেশি গবেষণার আহ্বান জানানো হয়েছে চিকিৎসাগত ও সামাজিকভাবে।
এই বিষয় নিয়ে তদন্ত দলের প্রধান প্রফেসর কারেন ইয়াং বলেন, সমাজে এর প্রভাব বিস্তারিত, গভীর ও দীর্ঘমেয়াদি।
এখন পুনঃ উৎপাদনের জন্য যুক্তরাজ্যে ভ্রুণের জিনগত পরিবর্তন নিষিদ্ধ তবে কিছু কিছু গবেষণায় সেটার অনুমতি দেওয়া হয়। প্রত্যাখ্যাত আইভিএফ ভ্রুণের জিন পরিবর্তন করতে পারে বিজ্ঞানীরা। তবে পরে যত দ্রুত সম্ভব ভ্রুণগুলো নষ্ট করে ফেলতে হবে।
উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া জিনোম পরিবর্তন করে কোনো বিশেষ পরিবারের বংশগত রোগ নির্মূল করা সম্ভব। ভ্রুণের সমস্যাগত কোনো কোড মুছে ফেলে। সেটা ডিম্বাণু বা শুক্রাণু থেকেও হতে পারে।
তবে এই গবেষণা সবার মনোযোগ আকর্ষণ করেছে পছন্দমতো শিশু তৈরির একটি ধাপ হিসেবে। সেই বিষয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্কেরও।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক নাটফিল্ড কাউন্সিলের একটি স্বতন্ত্র গবেষণা বলছে, যেকোনো আবিস্কার দুটি মূল পয়েন্টের উপর দাঁড়িয়ে থাকে। ভবিষ্যতের ব্যক্তিসত্ত্বার উন্নয়ন এবং সমাজের উন্নয়ন।
তবে এই কাউন্সিল আরো জানিয়েছে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া জিনের পরিবর্তন সমাজে কোনো অনগ্রসরতা, বৈষম্য ও বিভাজন বৃদ্ধি করবে না।
নাটফিল্ড কাউন্সিলের ডিরেক্টর হাগ হুইটল বলেন, জেনেটিক কোনো উপাদান পরিবর্তনের কারণে কোনো অবস্থান পরিবর্তন হচ্ছে সেগুলো জানতে হবে।
কাউন্সিল একটি বোর্ড গঠন ও সামাজিক বিতর্কের আহ্বান জানিয়েছে। তাতে আরো বেশি বেশি মানুষের কথা শোনা যাবে।