সড়ক দুর্ঘটনায় বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিলিং সহকারী রাজিয়া খাতুন রিনা মারা গেছেন।
তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, খুলনা থেকে কর্মস্থল বাগেরহাট যাওয়ার পথে খুলনা-মোংলা মহাসড়কের জয়পুর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
লকডাউন চলছে, কাজেই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অফিসে পৌঁছাতে ব্যাটারিচালিত ভ্যানে খুলনা থেকে বাগেরহাট যাতায়াত করতেন তিনি।
নিহতের স্বামী হাবিবুর রহমান জানান, সোমবার ভোর ৬টার দিকে খুলনার বাসা থেকে বেরিয়ে রিক্সায় রুপসা ফেরিঘাট যান, নদীর ওপার গিয়ে ভ্যানে ওঠেন রিনা, সাড়ে ৭ টার দিকে তার ফোনে খবর আসে রিনা মারা গেছেন।
বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম জাকির হোসেন তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেন।
রিনার পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগ জরুরী সেবার আওতায়, কজেই আমরা সবাই লকডাইনে অফিস করছি। তার এই মৃত্যু খুবই দুঃখজনক।
লকডাউনে সীমিত সংখ্যক লোকবল দিয়ে অফিস চালানো কিংবা নারীদেরকে সম্ভব হলে অফিসে যেতে নিরুৎসাহিত করা এমনকি যাতায়াতে পরিবহনের ব্যবস্থা করা- এই বিষয়গুলো নিয়ে সরকারের নির্দেশনা কী?
এমন প্রশ্নের জবাবে জাকির বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ড আরইবি থেকে আমাদের যাতায়াতে পরিবহনের ব্যবস্থা করাটা বাধ্যতামূলক বলে নাই।
ঢাকায় পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ডের সদস্য মতিয়ার রহমান অবশ্য বলেছেন, নারী কর্মকর্তাদের যতোদূর সম্ভব অফিসে না আনার বিষয়ে সব জিএমদেরকে নির্দেশনা দেয়া আছে। বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম জাকির হোসেন সোমবার সকালেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার খবরটি আমাদের বোর্ড প্রশাসনকে জানিয়েছেন। আমরা এই দুর্ঘটনার কারণ জানতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করব। জাকির হোসেন আমাকে জানিয়েছেন, নিহত বিলিং সহকারী রাজিয়া খাতুন রিনা বাগেরহাট থাকতেন। সে তার অসুস্থ স্বামীকে দেখতে খুলনায় গিয়েছিলেন। সোমবার অফিসে আসার পথে এই দুর্ঘটনা। কারণ যাই হোক, লকডাউনে কেন নারী কর্মকর্তাদের অফিসে আসা নিরুৎসাহিত করা হলো না তা আমরা খতিয়ে দেখব বলে আশ্বস্ত করেন মতিয়ার রহমান।
২০ বছরের বেশি সময় বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে সেবা দিয়ে আসা রিনার পরিবার যাতে পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ডের বিধি মোতাবেক পেনশনসহ সব সুবিধা দ্রুত পায় সে বিষয়েও সচেষ্ট থাকার কথা জানান মতিয়ার রহমান।