বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ওপর আরোপিত ভ্যাট প্রত্যাহার করেছে সরকার। কিছুক্ষণ আগে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যারা বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনেক খরচ করে শিক্ষা গ্রহণ করছেন তারা এজন্য অতিরিক্ত সাড়ে৭ শতাংশ ভ্যাট দিতে চান না। এবং সেজন্য তারা ক্লাস ছেড়ে দিয়েছেন, বিভিন্ন জায়গায় সমাবেশ করে জনজীবন বিঘ্নিত করছেন এবং উন্নয়নের যাত্রাপথে বাধার সুযোগ করে দিচ্ছেন।
‘সরকার কোনোমতেই শিক্ষাঙ্গনে কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে চায় না এবং জনজীবনে অসুবিধারও সৃষ্টি করতে চায় না। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করে সরকার ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের উপর যে সাড়ে ৭ শতাংশ মূসক আরোপিত হয় সেটি প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকার আশা করে যে, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষকবর্গ তাদের আন্দোলন বন্ধ করে শিক্ষাঙ্গনে ফিরে যাবেন এবং দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় কোন ধরনের বাধা সৃষ্টির সুযোগ দেবেন না।
প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে বিজ্ঞপিততে বলা হয়: এবারের বাজেট প্রস্তাবে কতিপয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক)/ভ্যাট আরোপিত হয়। অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তব্য ছিল নিম্নরূপ: “ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের বিপরীতে বর্তমানে সংকুচিত মূল্যভিত্তিতে সাড়ে ৭ শতাংশ মূসক প্রযোজ্য থাকলেও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে এর উপর বর্তমানে মূসক আরোপিত নেই। আমি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের পাশাপাশি এই খাতগুলোকেও মূসকের আওতায় আনার প্রস্তাব করছি। তবে করভার সহনীয় পর্যায়ে রাখার লক্ষ্যে এক্ষেত্রে সংকুচিত মূল্যভিত্তিতে ১০ শতাংশ মূসক নির্ধারণের প্রস্তাব করছি।”
‘বাজেট পাসের সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এই মূসক এর হার হয় সাড়ে ৭ শতাংশ। বাজেট পাস হয়েছে জুন মাসে। প্রায় তিন মাস পর এই মূসক নিয়ে কতিপয় ছাত্র-ছাত্রী আন্দোলনে নেমেছেন।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়: আমাদের দেশে বর্তমানে শিক্ষার প্রতি আগ্রহ প্রতিটি ঘরে ঘরে এবং অনেকেই অতি নির্দিষ্ট সামর্থের মধ্যেও ছেলেমেয়েদের শিক্ষার জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় করে থাকেন। ব্যক্তি মালিকানা খাতের প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা ব্যয়বহুল।
‘আপনারা জানেন যে, শিক্ষাখাত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সবচেয়ে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাত। তার বিশ্বাস যে, জাতিকে শিক্ষা দিলেই দেশের উন্নয়নের পথে অগ্রযাত্রা দ্রুতগতি লাভ করে। শিক্ষার উন্নয়নের জন্য সরকার প্রায় ৩৩ কোটি পাঠ্যপুস্তক বিনামূল্যে প্রদান করে। প্রচুর ছাত্র-ছাত্রীকে বৃত্তি প্রদান করে, খাদ্য সহায়তা দেয় এবং শিক্ষক সৃষ্টিতে ব্যাপক অবদান রাখে।’