বকেয়া ভ্যাট পরিশোধ না করার কারণে কক্সবাজার শহরের কলাতলী হোটেল-মোটেল জোনের চারটি হোটেল চত্বরে ট্রাক দিয়ে ময়লা ফেলেছে পৌরসভা।
বুধবার দুপুরে কলাতলীর হোটেল জামাল, সি ওয়েভ, কক্স ভ্যালি ও সি পয়েন্ট রিসোর্ট এর সামনে ময়লার স্তুপ জমা করেন পরিচ্ছন্নকর্মীরা।
এ বিষয়ে কক্সবাজার পৌরসভার ১১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম বলেন, বারবার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও হোটেল মোটেল জোন ও কটেজ থেকে ভ্যাট আদায় করা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে পৌর পরিষদে সিদ্ধান্ত নিয়ে এমন পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে। এতে যদি ভ্যাট বকেয়া থাকা প্রভাবশালীরা একটু লজ্জিত হয়। বিবেকের দংশনে যদি তারা ভ্যাট দেয়।
হোটেল জামালের ব্যবস্থাপক শাহনিয়াজ জানান, আকস্মিক পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কাজে নিয়োজিত একটি ডাম্পার এসে হোটেলের একদম সম্মুখেই ময়লাগুলো ফেলে। এতে মুহূর্তের মধ্যে দুর্গন্ধে সয়লাব হয়ে যায় পুরো এলাকা। ময়লা ফেলার ফলে হোটেলের পথও বন্ধ হয়ে যায়। এতে আটকা পড়ে যান হোটেলের অতিথিরা। একইভাবে সি ওয়েভ, কক্স ভ্যালি, সি পয়েন্ট রিসোর্টেও ডাম্পার দিয়ে ময়লা ফেলা হয়।
তিনি আরো বলেন, ভ্যাট বকেয়া থাকলে নোটিশ করতে হবে। তাতে না হলে ভ্রাম্যমাণ আদালতসহ ভ্যাট আদায়ের আরো মাধ্যম রয়েছে। কিন্তু ভ্যাট আদায়ে এই রকম জঘন্য কাজ করা চরম অন্যায় হয়েছে।
এ বিষয়ে কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মাহবুবুর চৌধুরীর বলেন, কয়েক দফা অনুরোধ ও লিখিত নোটিশ দেয়ার পরও অনেক হোটেল, রিসোর্ট ও কটেজ কর্তৃপক্ষ ভ্যাট দেয়নি। এতে পৌরসভার উন্নয়ন কাজ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, রাস্তা অপরিষ্কার, নালা নর্দমায় ময়লা, সড়ক বাতি জ্বলে না- অভিযোগে প্রতিনিয়ত পৌর পরিষদকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ নানাভাবে হেয় করে জনতা। অথচ সেই জনগণের একটি অংশ পৌরকর ফাঁকি দেয়। তারা ভ্যাট, ট্যাক্স ফাঁকি দিবে কিন্তু সেবা চাইবে শতভাগ। আর জনগণের সেবা নিশ্চিত করতেই ভ্যাট আদায়ে বদ্ধপরিকর পৌরসভা।
মেয়র আরো বলেন, পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাসহ নানা প্রকল্প পাওয়ার জন্য ৮৫ ভাগ ভ্যাট আদায় দেখাতে হয়। কিন্তু কক্সবাজারে এখন পর্যন্ত ৩৪ ভাগ ভ্যাট আদায় করা সম্ভব হয়েছে। জুন মাসের মধ্যে ভ্যাট আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হলে পৌরসভার চলমান প্রকল্পগুলো বাতিল হয়ে যাবে। তাই বাধ্য হয়ে ময়লা ফেলে অভিনব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আশাকরি এতে তাদের বোধদয় হবে।