চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

ভ্যাকসিন রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের ঘোষণা ইইউ’র

ইইউ সদস্য দেশগুলোতে করোনা ভ্যাকসিন সরবরাহ নিয়ে অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে বিরোধের মধ্যেই ভ্যাকসিন রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

ইউরোপীয় কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, তাদের নাগরিকদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার প্রাধান্য দিয়েই ভ্যাকসিন সরবরাহের স্বল্পতার কারণে বাধ্য হয়েই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এর আগে ইইউ’র পক্ষ থেকে সতর্ক করে বলা হয়েছিল করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন রপ্তানির বিধি কঠোর করা হতে পারে। অবশেষে ইইউ আজকে তা নিশ্চিত করেছে বলে জানায় বিবিসি।

রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের ঘোষণা দিয়ে ইইউ’র স্বাস্থ্য কমিশনার বলেন, ইইউ’র সকল নাগরিক যাতে ভ্যাকসিন পায় এবং সব পক্ষই নিয়ম নীতি দ্বারা যেন চালিত হয় তা নিশ্চিত করতেই এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

‘আস্থা, স্বচ্ছতা এবং দায়িত্ববোধ’ থেকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন: প্রতিশ্রুতি রাখা প্রয়োজন, চুক্তিগুলি বাধ্যতামূলক।  অগ্রিম ক্রয়ের চুক্তিগুলিকে সম্মান করা দরকার।

এর আগে ব্লকটির স্বাস্থ্য কমিশনার জানিয়েছেন: নিজের নাগরিকদের সুরক্ষার প্রয়োজনে যেকোন পদক্ষেপ নেবে ইইউ।

গত সপ্তাহে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ইইউকে জানিয়েছে, উৎপাদন সমস্যার জন্য পরিকল্পনা অনুযায়ী ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে পারছে না তারা।

সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পক্ষ হয়ে অ্যাস্ট্রাজেনেকাকে ওই ক্রয়াদেশ দিয়েছিল ইইউ, কিন্তু ভ্যাকসিন বিতরণে ধীর গতির জন্য সমালোচনার মুখে পড়েছে তারা।

ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন সরবরাহেও ঘাটতি তৈরি হওয়ায় ইইউ’র কিছু সদস্য দেশে ভ্যাকসিন কর্মসূচীর গতি কমে গেছে, এই কারণে কিছু দেশ আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকিও দিয়েছিল।

অন্যদিকে ভ্যাকসিন নিয়ন্ত্রণের ঘোষণার কিছুক্ষণ পরেই অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন ১৮ বছরের উপরের প্রার্থীদের শরীরে প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছে ইইউ’র ওষুধ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা দ্য ইউরোপিয়ান মেডিসিন্স এজেন্সি (ইএমএ)।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় প্রস্তুত করা এই ভ্যাকসিনটি ইউরোপীয় ব্লকের দ্বারা অনুমোদিত তৃতীয় ভ্যাকসিন।