চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

‘ভ্যাকসিন নিয়ে চরের মানুষের বাড়ি বাড়ি যেতে হবে’

ভ্যাকসিন নিয়ে আগের তুলনায় চরের মানুষের আগ্রহ অনেক বেড়েছে

সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা কল্যাণ মন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক বলেছেন, জনস্বাস্থ্য রক্ষায় ইপিআই করার সৃমদ্ধ অভিজ্ঞতা রয়েছে আমাদের। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে ভ্যাকসিন নিয়ে চরের মানুষের বাড়ি বাড়ি যেতে হবে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে সমুন্নয় ও ন্যাশনাল চর অ্যালায়েন্সের (এনসিএ)-এর উদ্যোগে ‘চরের মানুষের টিকা অধিকার’ বিষয়ক ভার্চ্যুয়াল মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘ভ্যাকসিন নিয়ে চরের মানুষের বাড়ি বাড়ি যেতে হবে।কেননা এ ধরনের দুর্গম অঞ্চলে সামাজিক ও অর্থনৈতিক অনেক চ্যালেঞ্জ বিদ্যমান রয়েছে। সুসংবাদ হলো দেশের প্রান্তজনের টিকা নিশ্চিত করতে টিকার প্রাপ্যতা বাড়ানোর পাশাপাশি সরকার দেশেই ফিল্ড ফিনিস করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ফলে অচিরেই টিকা চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে।’

সমুন্নয়ের চেয়ারম্যান এবং ন্যাশনাল চর অ্যালায়েন্সের প্রতিষ্ঠাতা ড. আতিউর রহমান-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়াটার এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান এবং কেয়ার বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর রমেশ সিং। বিশেষ বক্তা ছিলেন ওয়ার্ল্ড ভিশন-এর সিনিয়র ম্যানেজার এসএম মঞ্জুর রশীদ এবং কনসার্ন ওয়ার্ল্ড ওয়াইড-এর পরিচালক (চর কনটেক্স) সায়ীদ মাহমুদ রিয়াদ।

সভায় ড. অতিউর রহমান বলেন, ‘ধীরে ধীরে ভ্যাকসিন সরবরাহের চেইন মজবুত হচ্ছে। ভ্যাকসিন পাওয়ার পরপরই সেটা মানুষের কাছে পৌঁছানো বড় একটা কাজ। স্বভাবতই সরকারি, বেসরকারি, সামাজিক সংগঠনগুলোর তাই এক সাথে কাজ করতে হবে। দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য গণটিকার বিকল্প নেই। সামনে টিকা নীতি হবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। সরকার নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে টিকা নিয়ে আসছেন। দেশেও ভ্যাকসিন উৎপাদন করা হবে। ভ্যাকসিনের লড়াই-এ সরকার হার মানেনি।

ওয়াটার এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান বলেন, ভ্যাকসিন নিয়ে আগের তুলনায় চরের মানুষের আগ্রহ অনেক বেড়েছে। টিকা নিশ্চিত করার জন্য চরের মানুষের কাছে যেতে হবে। এ কারণে একটি বাস্তব সম্মত কৌশল পদ্ধতি বের করার প্রয়োজন রয়েছে।

কেয়ার বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর রমেশ সিং বলেন, করোনা দুর্যোগে আমরা কেউ-ই এখন নিরাপদ নই। চরে বসবাসরত মানুষের বিরাট অংশ টিকার বাইরে রয়েছে। চরের মানুষের টিকা নিশ্চিত করার জন্য সরকারি এবং বেসরকারি সংগঠনসমূহকে একসাথে কাজ করতে হবে।

ন্যাশনাল চর অ্যালায়েন্সের সদস্য সচিব জাহিদ রহমানের সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সমুন্নয়ের সেক্রেটারি শাহীন উল আলম। বিষয়বস্তুর উপর মাঠ জরিপ উপস্থাপন করেন সমুন্নয়ের গবেষক জিনিয়া শারমীন।

সভায় ফ্রেন্ডশীপ, জিইউকে, এসকেএস, উন্নয়ন সংঘ, ইকো-কো-অপারেশনসহ কুড়িগ্রাম, রাজবাড়ী. লালমনিরহাট, পটুয়াখালি, গাইবান্ধা জেলার চর অ্যালায়েন্সের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।