করোনাভাইরাস মোকাবেলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি আরেক উপাদান হলো ভ্যাকসিন। ভাইরাসের দাপটে বিশ্বব্যাপী ভ্যাকসিন সংকটে রয়েছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কেনা ভ্যাকসিনের চালান আটকে যাওয়ায় বাংলাদেশে ভ্যাকসিনের সংকট দেখা দেয়। এমনকি টিকা কর্মসূচি সাময়িক বন্ধও রাখতে হয়েছিল।
বাংলাদেশের কূটনৈতিক দক্ষতায় সেই সংকট ইতোমধ্যে কাটতে শুরু করেছে। চীন, রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কয়েক চালানে টিকা আসার পর ভ্যাকসিন কর্মসূচি আবার শুরু হয়েছে। এরমধ্যেই সুখবর এসেছে: ‘বাংলাদেশকে আরও ৩০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন উপহার দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মডার্নার ওই ভ্যাকসিন আসছে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে।’
শনিবার সকালে ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার এক টুইট বার্তায় বলেন: ‘অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আমেরিকার জনগণের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে আরও তিন মিলিয়ন ডোজ মডার্নার ভ্যাকসিন উপহার হিসেবে দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশসহ দুনিয়ার দেশে দেশে ভ্যাকসিন সাপ্লাই বাড়িয়ে করোনাকে পরাজিত করা এবং কোভিড মুক্ত পৃথিবী গড়ার লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্র অঙ্গীকারাবদ্ধ।’
এছাড়া চীন আরও ভ্যাকসিন বাংলাদেশকে দেবে বলে জানিয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় আজ ১৭ জুলাই দিবাগত রাতেই দুই ধাপে দেশে আসছে চীনের সিনোফার্মের বানানো ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন। চ্যানেল আই অনলাইনের প্রতিবেদনে জানা যায়: ‘১৭ জুলাই রাত ১১টায় ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন এসে পৌঁছাবে। এরপর একই দিন শেষে অর্থাৎ ১৮ জুলাই রাত ৩টায় একই ভ্যাকসিনের আরও ১০ লাখ ডোজ দেশে আসবে।’
বিশ্বব্যাপী যখন ভ্যাকসিনের চরম সংকট, তখন বাংলাদেশের ‘ভ্যাকসিন কূটনীতি’র সফলতা আশাব্যঞ্জক। তবে বাংলাদেশ এখনও প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিনের নিশ্চয়তা পায়নি। সেই বিষয়টি মাথায় রেখে প্রয়োজনীয় তৎপরতা অব্যাহত রাখতে হবে। এজন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে আমরা সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।